বাংলার কন্ঠস্বর // করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার প্রয়োজনীয় নথি দিতে নিম্ন আদালতের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করেননি হাইকোর্ট। সাবরিনার পক্ষে করা এক আবেদনের শুনানি করে আজ সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডা. সাবরিনার পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান তুহিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেনারেল মো. সরওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আদেশের পর আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘যেহেতু এই মামলার মূল ভিত্তি বেশ কিছু ডকুমেন্টের ওপরই নির্ভরশীল, তাই আমরা বিচারিক আদালতে সেসব ডকুমেন্ট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলাম। প্রসিকিউশনও এসব ডকুমেন্টের ওপর নির্ভর করে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাবরিনার পক্ষে সেসব ডকুমেন্টের তথ্য চেয়ে আবেদন জানালে বিচারিক আদালত তা খারিজ করেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছি। আবেদনে মামলার ডকুমেন্ট ও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। আদালত নথি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’
করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে গত ২৩ জুন তেজগাঁও থানার মামলায় গত ১২ জুলাই গ্রেপ্তার দেখানো হয় ডা. সাবরিনাকে। এই মামলায় গত ২০ আগস্ট ঢাকার আদালতে সাবরিনাসহ অপরাপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওইদিনই সাবরিনার আইনজীবীরা কিছু ডকুমেন্ট চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ওই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
পরে মামলার নথিপত্র চেয়ে বিচারিক আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন সাবরিনার আইনজীবী। আবেদনে মামলায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চাওয়া হয়। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে চলমান মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়।
জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে।
এরপর জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় গত ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।