বাংলার কন্ঠস্বরঃ
বাংলাদেশ-ভারত এশিয়া কাপ ফাইনাল ম্যাচটি কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃষ্টির পর দ্রুততার সাথে মাঠ প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যেই স্ট্যাম্পগুলো লাগানোর কাজ হয়ে গেছে।
মিরপুরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্দান্ত কাজ করেছে।
দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠে এসে গেছেন। একদিকে ভারতীয় ক্রিকেটারা ফুটবল খেলতে নেমে গেছেন।
সব ঠিক থাকলে ম্যাচ কখন শুরু হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যাবে।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট থেকেই মেঘলা আকাশে অন্ধকার হয়ে পড়ে মিরপুরের স্টেডিয়াম। এরপর ৬টা ০৫ মিনিটে বৃষ্টি আবির্ভাব হয়। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বৃষ্টির তেজ বাড়তে থাকে এবং শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়ও। এমন ঝড় চলে ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত।
প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে চলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে পুরো মাঠে জমে গেছে পানি। তবে বৃষ্টি কমলে, এক থেকে দেড় ঘন্টা লাগবে মাঠকে খেলার উপযোগী করতে। তখন ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসবে।
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, ৮.৩০-এ খেলা শুরু করা যায় কি না তা বিবেচনা করা হবে। বৃষ্টি থামলে এবং মাঠ খেলার উপযোগী থাকলে ৮.৩০-এই খেলা শুরু হতে পারে। আর যদি তখনও শুরু করা না যায়, সর্বশেষ ১০.৪০-এ শুরু করার শেষ চেষ্টা করা হবে। সেক্ষেত্রে ৫ ওভারের ম্যাচ হতে পারে।
তখনও যদি খেলা শুরু করা না যায়, তবে বাংলাদেশ ও ভারতকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, এই ম্যাচের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি।
এর আগের খবরে বলা হয় বাংলাদেশ-ভারত ফাইনালের আগে মিরপুরে আক্ষরিক ঝড়ই বয়ে যায়। ঝড়ের ছোবলে মিরপুর স্টেডিয়ামে পিচ উড়ে যাচ্ছে। মাঠের কর্মীরা পিচ ঠিক রাখার জন্য যে কভার দিয়েছিলেন, সেগুলো রাখতে হিমশিম খান। সেইসাথে ছিল বৃষ্টি আর বজ্রপাত।
ক্রিকেটের সুপরিচিত ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়, ঝড় আর বজ্রপাতে মিরপুরে ফাইনাল দেখতে আসা দর্শকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। অবস্থা এখন ভালো মনে হচ্ছে না।
এর ফলে ফাইনাল ম্যাচটি হতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।