ড্রোনগুলো ভারতের কাকদোড়িপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প থেকে উড়ানো হয় এবং বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা গ্রামের ওপর দিয়ে টহল দেয়।

এমনকি বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের ওপর দিয়েও ড্রোনগুলো নজরদারি চালায়, যা সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ মিয়া জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ করেই একসঙ্গে চার থেকে পাঁচটি ড্রোন আকাশে দেখা যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৭ মে ভারতীয় ১৪ জন নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর থেকে বিএসএফ সীমান্তে বিভিন্ন সময় তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এ ঘটনা সেই তৎপরতারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে ২৭ মে পুশইনের ঘটনার পর একই এলাকায় বিএসএফ ড্রোন উড়িয়ে সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করেছিল। ওই দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে সাহেবের আলগা বিওপি এলাকায় তিনটি ড্রোন উড়ানো হয়। মাত্র তিন দিন পর একসঙ্গে পাঁচটি ড্রোন উড়ানো হয়, যা সীমান্ত নিরাপত্তায় নতুন চাপ তৈরি করেছে।

বিজিবির বড়াইবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আঞ্জু মিয়াকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান বলেন, তারা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে এবং বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে কারণ জানতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, “এটি সীমান্ত আইনবিরোধী কাজ এবং এর ব্যাখ্যা দাবি করছি।”

সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধরনের তৎপরতার কারণে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বেড়ে গেছে, যা সময়োপযোগী সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট করে তুলেছে।