কানুন, রয়েছে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।
ইচলাদী থেকে সাতলা সড়কের উপজেলা পরিষদের
সামনে পৌনে এককোটি টাকার আরসিসি কালভার্ট নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, আমিরুল কনষ্ট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারীপ্রতিষ্ঠান ৬ মিটার আরসিসি কালভার্ট এর ৭৪ লক্ষ টাকায় ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে ঠিকাদার মিঠু হাজারী
নামক ব্যক্তি ২০২২ সালের ২৮ আগষ্ট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
কালভার্টের দুইপার্শ্বে আরসিসি ওয়াল নির্মাণে তলদেশে ঢালাই কাজে পানির ভিতরে নিয়ম না মেনেই কাদামাটি মিশ্রিত অবস্থায় নামমাত্র চিকন চিকন রড দিয়ে রাতের
আঁধারে ঢালাই কাজ শেষ করে। এ সময় স্থানীয়রা বাধা প্রদান করেছিলেন।
এমনকি নির্মাণের পূর্বে উপজেলা সদরের একমাত্র এই রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলের জন্য যে বাইপাস সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ২/৪টি ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন গড়িয়ে খালের
ভিতরে পড়ছে, আহত হচ্ছে বিভিন্ন যাত্রী।
কালভার্টটিতে ৪টি উইন ওয়াল থাকার কথা থাকলেও ১টি উইন ওয়াল দিয়েই দুই পাশের আরসিসি ওয়াল শেষ করেছেন। এ কারণে কালভার্টটি দুর্বল হয়ে দুপাশের মাটি সরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শুরু হয়েছে স্লাব ঢালাইয়ের কাজ।
এতেও রয়েছে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ। এ প্রেক্ষিতে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম মুন্না নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে ত্রুটি সম্বলিত রড সেটিং এর সমস্যা সমাধাণের জন্য নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় স্লাব ঢালাইয়ের জন্য যে সেন্টারিং করা হয়েছে তা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। লোহা ও স্টীলের সেন্টারিং দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে সরু প্রকৃতির মেহগনি গাছের খুঁটি, যা দিয়ে যে কোন
মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী টিটু মোল্লা, জাহাঙ্গীর হোসেন, হালিমসহ
একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন বাইপাস সড়কে উঠতে গিয়ে ২/৪টি গাড়ি খালে পড়ে যায়। এ সময় বিভিন্ন যাত্রী আহত অবস্থায় তারা উদ্ধার করেছে বলে জানান।
সাইড কন্ট্রাকটর আলীম জানান, ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের নির্দেশেই এভাবে করা হয়েছে। ঠিকাদার কাজে নিয়োজিত মিঠু হাজারীর ভাই জাহেরুল হাজারী জানান, কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছে না।
সঠিক নিয়মেই করা হচ্ছে। তবে উইন ওয়াল ৩টি জায়গা
স্বল্পতার কারণে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৩৩ ফুট ওয়ালের সাথে ৩ মিটার আরসিসি ওয়াল যুক্ত
করে দেয়া হয়েছে। এতে সমস্যা হবে না। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম মুন্না জানান, কালভার্টটির জন্য ৭৪ লক্ষ টাকার ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। এটি নির্মাণে কোন দূর্নীতি অনিয়ম হয়নি। ছোটখাট যে ত্রুটি রয়েছে তা সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।
Leave a Reply