বাংলার কন্ঠস্বরঃ
রাজধানীর কল্যাণপুর পোড়া বস্তির একটি অংশে আজ শুক্রবার সকালে আগুন লেগেছে। এতে বেশ কিছু ঘর পুড়ে গেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ এই আগুন দিয়েছে বলে বস্তিবাসীর অভিযোগ।
একই বস্তি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে বস্তিবাসীর কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। পরে দুপুরে হাইকোর্ট ওই বস্তি উচ্ছেদ-কার্যক্রমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিলে আংশিক উচ্ছেদ করেই ফিরে যায় হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। আজ সেই বস্তির একটি অংশে আগুনের ঘটনা ঘটল।
বস্তির কমিউনিটি বেসড অর্গানাইজেশনের (সিবিও) সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান আকন্দ আজ প্রথম আলোকে বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে কে বা কারা বস্তির ৮ নম্বর অংশে আগুন দেয়। পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে বলে তাঁদের সন্দেহ।
বস্তিবাসীর ভাষ্য, আগুন নেভানোর ব্যাপারে প্রথমে তাঁরাই উদ্যোগী হন। অনেক পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। আগুনে অন্তত ১০০টি ঘর পুড়ে গেছে। বেলা ১১টার দিকে আগুন নেভানো হয়।
ঘ
টনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও বস্তির বাসিন্দারা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। টিন ও বেড়ার তৈরি বেশ কিছু ঘর পুড়ে গেছে।
মো. ইউসুফ নামের বস্তির এক বাসিন্দার ভাষ্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আরও আগে ঘটনাস্থলে এলে ক্ষয়ক্ষতি কম হতো। ঘটনাস্থলে দ্রুত আসতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় বাধা পাওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিরপুর স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল আরেফিন। তবে কারা বাধা দিয়েছে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, বস্তিতে লাগা আগুন নেভাতে দুটি ইউনিট কাজ করেছে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান বলেন, সকাল ১০টার দিকে তাঁরা আগুন লাগার খবর পান। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। ঘটনাস্থলে যেতে তাঁদের কেউ বাধা দিয়েছে কি না, পুলিশের তা জানা নেই।