বাংলার কন্ঠস্বরঃ
বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে পুনর্নিবাচিত হওয়ায় খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
বিএনপির শীর্ষ দুই পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত খালেদা-তারেক
বিএনপির শীর্ষ এই পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় রোববার বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান, সাবেক স্পিকার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমান ছাড়া আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তাকেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন তিনি।
খালেদা জিয়া রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও আবদুল কাইয়ুম ফুল দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদও তাদের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানান।
পরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল কবির রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুস সালাম প্রমুখ নেতা তাকে অভিনন্দন জানান।
এদিকে রাতে গুলশানের বাসা থেকে খালেদা জিয়া কার্যালয়ে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা করতালি ও শ্লোগান দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
খালেদা-তারেককে প্রবাসী নেতাদের অভিনন্দন
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি জানান, খালেদা জিয়া পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় দলটির যুক্তরাষ্ট্র শাখা এবং সেখানকার বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রোববার এক যুক্ত বিবৃতিতে বিএনপির যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা বলেছেন, “নব্বইয়ের স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের ন্যায় আরেকটি দুর্বার আন্দোলন রচনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বের বিকল্প ছিল না।”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে অন্য সব নেতারাও একই বিবেচনায় নির্বাচিত হবেন এবং জিয়ার আদর্শের কর্মীরা সব বিভাজনের ঊর্ধ্বে থেকে ‘শত নির্যাতন মামলা হামলার মধ্যেও’ বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকার সংকল্প গ্রহণ করবেন বলে আশা করছেন প্রবাসী নেতা-কর্মীরা।
বিবৃতি প্রদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারপারসন ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বাদল, তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও বিএনপি নেতা পারভেজ সাজ্জাদ, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন ও নির্বাহী সদস্য কাজী আজম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, নিউ ইয়র্ক রাজ্য বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ফ্লোরিডা রাজ্য বিএনপির সভাপতি দিনাজ খান প্রমুখ।