এর প্রতিবাদ করায় তিন বোন, ছোটভাই, ভগিনীপতি ও ভাগ্নেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের নলচিড়া খানাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া খানাবাড়ি গ্রামের শাহজাহান মৃধা গত ২৩ বছর পূর্বে স্ত্রী, ২ পুত্র, ৩ কন্যা ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে ইন্তেকাল করেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে বড় ছেলে মাহাবুব মৃধার কাছে মা হালিমা বেগম থাকত।
এ সুযোগে বড় ছেলে (মাহাবুব) ফুসলিয়ে মা হালিমা বেগমের নামের ৬৪ শতাংশ জমি মাহাবুব মৃধা ও ছোট ছেলে মুবিন মৃধার নামে লিখে নেয়। এ নিয়ে নলচিড়া ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধার সভাপতিত্বে একাধিক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বড় মেয়ে আকলিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বড়ভাই মাহাবুব মৃধা চাপ সৃষ্টি করে মায়ের নামের জমি লিখে নিয়েছেন। এ নিয়ে নলচিড়া ও বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে, নলচিড়া বাজার পরিচালনা কমিটি, গৌরনদী থানায় কয়েক দফা সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সালিশ বৈঠকে বসে বড়ভাই সালিশগণের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার পরে তা অমান্য করে আসছেন।
মা হালিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বড় ছেলে আমার নামের জমি লিখে নিয়ে আমাকে স্বামীর বসতঘর থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে আমি নলচিড়া বাজারে ছোট ছেলের খরচে স্বামীর জায়গায় বসবাস করছি।
ছোটভাই মুবিন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, মায়ের নামের জমি লিখে নিয়ে মাকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার প্রতিবাদ করলে বড়ভাই মাহাবুব মৃধা বাদী হয়ে আমাকে, তিন বোন, ভগিনীপতি, ৪ ভাগ্নেসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে গত ৯ জুন বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ওই মামলায় বাদী মাহাবুব উল্লেখ করেন, নলচিড়া বাজারে বাদীর দোকানে গত ৮ জুন আসামিরা হামলা চালিয়ে তাকে (মাহাবুব) মারধর করে ৫০ মণ ভুট্টা, ৪০ মণ ধান, ১০ মণ মুগ ডাল লুট নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয় জোরপূর্বক বাদীর পুকুর থেকে ৭-৮ মণ মাছ লুট ও বাগানের বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে আসামিরা।
নলচিড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মো. বাদশা ফকির জানান, বৃদ্ধা হালিমা বেগমকে তার বড় ছেলে স্বামীর ভিটা থেকে বের করে দিয়েছেন। এ নিয়ে বাজার কমিটি একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছে। মাহাবুব মৃধা সহোদর ভাই-বোনদের জব্দ করতে বাজারের দোকানে হামলা ও লুটপাটের মতো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
উল্লেখিত সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বড় ছেলে মাহাবুব মৃধা বলেন, আমার ছোটভাই মুবিন মৃধা আমার বিরুদ্ধে নলচিড়া ও বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে ২টি ও গৌরনদী থানায় ৩টি লিখিত অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি করে আসছে।