বাংলার কন্ঠস্বরঃ সম্প্রতি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটে ব্যাপকভাবে চুরির উপদ্রপ বেড়েছে। দিনে অথবা রাতে বিশেষ কায়দায় সুযোগ মত গ্রীল কেটে কিংবা সিধ কেটে চোরেরা বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে মানুষকে সর্বশান্ত করে চলছে। চোরদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা বিদ্যুতের তার, ঘটি-বাটি, টিউবওয়েল, মল যাওয়ার পাইপ, এমনকি মসজিদের দান বাক্সের টাকাও। কাজিরহাট থানার চার ইউনিয়নে ইদানীং একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে এ সমস্ত চুরির ঘটনা অধিকাংশ পুলিশকে জানানো হয় না। ভুক্তভোগীরা জানায়, থানায় চুরির মামলা করতে গিয়ে উল্টো নানা উটকো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সে কারণে এর সঠিক পরিসংখ্যানও পাওয়া যায়না। কিন্তু প্রায় প্রতিদিন এলাকার কোথাও না কোথাও চুরি সংগঠিত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। চোরের অত্যাচারে এ জনপথের সাধারন মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। জনমনে পুলিশের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, এলাকায় মাদকসেবী ও জুয়াড়ীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটছে এবং মাদকসেবী ও জুয়াড়ীরাই এসব চুরির সঙ্গে জড়িত বলে অভিমত পোষন করেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকারের জুয়ায় আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকার অধিকাংশরাই। তাসের জুয়ার পাশাপাশি চলছে ক্রিকেট, ফুটবল নিয়ে চমকপ্রদ জুয়া। জুয়ায় হেরে বেকার যুবকরা টাকার জন্য হন্যে হয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এলাকায় চুরি, জুয়া ও মাদক বন্ধে পুলিশের নিকট বিশেষ অভিযান পরিচালনারও দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ প্রতিবেদন লেখার পুর্বে গত আট দিনে কয়েকটি চুরি সংগঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে লতা ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হাজীর ঘর থেকে স্বর্ণালংকার চুরির খবর পাওয়া গেছে। প্রবাসী আরিফ হাং এর বাড়িতে সিধ কেটে চোর প্রবেশ করলে, ঘরের মালিক টের পাওয়ায় চোর পলায়ন করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় ওয়াজেদ আলী খান, আলী আহম্মেদ খানের ঘরে বেশ কিছুদিন পূর্বে চুরি হয়েছিল । এ ব্যাপারে কাজিরহাট থানা অফিসার্স ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানায়,” আমাদের কাছে এ পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করতে আসেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। এ দিকে স্থানীয় একাধীক সূত্র জানায়, সম্প্রতি চর সন্তোষপুর নলী বাড়ির পিছনের বাগানে ,আসলী সন্তোষপুর বাংলাবাজার সংলগ্ন কিছু জায়গায়, ও তুলাতলির কিছু যায়গায় চলছে রমরমা জুয়ার বানিজ্য। এ সমস্ত জুয়ার আসরে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অনেক জুয়াড়ীরা অংশগ্রহন করে চলছে। ইতিপূর্বে কাজিরহাট থানার এস আই মনসুর আহম্মেদের নেতৃত্বে এদের কয়েকজনকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা যায়। তবে সম্প্রতি সংগঠিত হওয়া চুরির ঘটনাগুলোয় স্থানীয়রা মাদক ও জুয়াকেই দায়ী করার পাশাপাশি অপরাধ স্পোটগুলোকে পুলিশি নজরদারিতে রাখার অভিমত পোষন করেন।