প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার বিশেষ দূত করে আমাকে সম্মানিত করেছেন। তার সাথে আলাপ-আলোচনা না করে এই পথ ছেড়ে দিয়ে তাকে অসম্মানিত করতে পারি না। অবশ্যই এ বিষয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করব। জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করা হলে সংসদ আরও কার্যকর হবে এবং সরকারও লাভবান হবে।’
শনিবার দুপুরে বনানীস্থ জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে এক অনির্ধারিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির রাজনীতিকে জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে। আমরা এ দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী শক্তি। স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে জাতীয় পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, এম এ সাত্তার, গোলাম হাবিব দুলাল, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আলহাজ সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), হাবিবুর রহমান, সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা দিদার বখত, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান রত্না এমপি, শেখ সৈয়দ হুসেইন মুহম্মদ নূরুল আমিন শানু চৌকিদার, আব্দুর রাজ্জাক খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাজী আবু বকর, জহিরুল ইসলাম জহির, মো. দেওয়ান আলী, আরিফুর রহমান খান, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, নূরুল ইসলাম নুরু, অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী এমপি, মো. নোমান মিয়া এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, শাজাহান সরদার, কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, মো. জহিরুর আলম রুবেল, পার্টির কোষাধ্যক্ষ মেজর খালেদ আখতার (অব.), ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ ভাসানী, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার হাসান, জাতীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী হুসাইন অনন্যা, কেন্দ্রীয় সদস্য মোল্লা মুজিবর রহমান, মো. রেজাউল করিম, এনাম জয়নাল আবেদীন, মাওলানা মো. শাজাহান, আব্দুর রাজ্জাক খান, গোলাম মোস্তাফা, নির্মল দাস, সুমন আশরাফ, সোলায়মান সামি প্রমুখ।
গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে পার্টির মহাসচিব পদে নিয়োগ করায় ঢাকায় অবস্থানরত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অভিনন্দন জানাতে পার্টি অফিসে সমবেত হয়েছিলেন।
এ সময় এরশাদ আরও বলেন, ‘দলের প্রয়োজনেই আমি কো-চেয়ারম্যান নিয়োগ ও মহাসচিব পদে পরিবর্তন এনেছি। এই পরিবর্তনে সারাদেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। দল আবার জেগে উঠেছে। আমরা পার্টিকে এবার আরও সুসংগঠিত করতে পারব। আমরা এই সংসদের বিরোধী দল। আশা করি, আমাদের সংসদ সদস্যরা সংসদে এমন কোনো বক্তব্য রাখবেন না, যাতে করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।’