বাংলার কন্ঠস্বরঃ নদী ভর্তি স্বচ্ছ পানি। তারই পাড়ে সবুজ গাছপালার সমারোহ। চকচকে রঙিন গ্রেছ টাইলসের উপর সূর্যের তীর্যক আলোকচ্ছটা। এসবই ছিল বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা পার্কের আকর্ষণ। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর অবহেলা আর অযতেœ জৌলুস হারাতে বসেছে কীর্তন খোলা নদীর পাড়ে চিত্তবিনোদনের এই পার্কটি। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্র“য়ারি) সরেজমিনে গিয়ে চোখে পড়ে এই বেহাল চিত্র। প্রায়ত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের গড়া পার্কটি ঘিরে বিনোদন ছাড়াও নদীতীরের নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ানোর যে নিরনন্তর চেষ্টা ছিল তা যেন আজ ম্লান হতে বসেছে। বিসিসির কর্মীরা দিনে একবার ঝাড়– দিয়েই দায়সাড়া। পরিচর্যায় অন্য কোন উদ্যেগ চোখে পড়েনি।
পার্কে প্রবেশ করেই দেখা গেল সবুজ শ্যামল গাছগুলো পরিচর্যার অভাবে তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছে। ভাল কোন বেষ্টনি না থাকায় এটা যেন এক চাড়নভূমি। পার্শ্ববর্তি লোকজনের পালন করা ছাগল ঢুকে পরিবেশটি করছে আরো নোংড়া। আবার কোন কোন স্থান দেখলে মনে হয় এটা যেন কৃষি ভূমিতে পরিনত করে ফেলা হয়েছে। অগাছা জন্মে তার উপরে ময়লার স্তুপ পরে আছে। পার্কটি এখন যেন ডাষ্টবিনে পরিনত হয়েছে। খুলে যাচ্ছে গ্রেছ টাইলস গুলোও। ভেঙে গেছে স্থাপনার বিভিন্ন অংশ। দিনের পর দিন ধরে চলছে এই কান্ড, যেন দেখার কেউ নেই। কতটা অবহেলায় পরে আছে এই পার্কটি তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়।
অপরদিকে পরিবেশ নষ্টে স্কুল পড়–য়া ছাত্র ছাত্রীরা পিছিয়ে নেই। দুপুর হলেই অনেকে স্কুল ফাঁকি দিয়ে বইখাতা ব্যাগে নিয়ে বয়ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে আসে । কেউ স্কুল ড্রেস পড়ে আসে আবার কেউবা খূলে ব্যাগে রাখে। শুধু ঘুরেই ্যান্ত হয়না তারা। কিছু দৃস্টিকটু কার্জকলাপে অনেকটা লজ্জাস্কর পরিস্থিতিতে পরেযান ঘুরতে আসা বয়োবৃদ্ধরা। এ অবস্থা বেশীদিন চললে হয়তো সামাজিক অবয়ের অন্যতম কারন হতে পারে এটি। এরপরেও কীর্তন খোলা নদীর টানে প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে মুক্ত হাওয়া খেতে সব বয়সের মানুষেই ছুঁটে আসে। সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত এই পার্কটি যথাযথ ভাবে রণাবেনের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃপরে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সাধারন জনগন।