মোঃ ফয়সাল শিকদারঃ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধনে রিটেইলররা অর্থ নিলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে লাইসেন্স বাতিল করার হুশিয়ারি দেয়ার পরও টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে সিম নিবন্ধন। বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড ও খুচরা সিম বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। হাসপাতাল রোড,স্কুল রোড,কলেজ রোড,থানা রোড,মধ্য বাজার,উত্তর বাজার সহ বেশ কিছু এলাকার মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী গ্রহণকরা সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে যে কোনো সিম/রিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে গ্রাহকের কাছ থেকে ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এসময় সিম পুনঃনিবন্ধন করতে আসা একজন অভিযোগ করে বলেন, বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ না নেয়ার নির্দেশ দেয়ার পরও এখানে সিম প্রতি ২০ টাকা নিচ্ছেন খুচরা দোকানদাররা। একই চিত্র দেখা গেছে, ওই এলাকার আশপাশের মোবাইল সিম বিক্রয় প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দোকানে। এদিকে গ্রাহকদের এই অভিযোগ স্বীকার করে বলেন,‘বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম/রিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে আমরা কোম্পানির পক্ষ থেকে সামান্য কিছু বোনাস পাবো। কিন্তু সিম নিবন্ধনে বিদ্যুৎ খরচসহ বিভিন্ন খবর আছে, এজন্যই আমি ২০ টাকা করে নিচ্ছি। এসময় আশপাশের দোকানগুলোতেও টাকা নেয়া হয় বলে জানান তিনি। গ্রামীনফোন কাষ্টমার কেয়ার প্রতিনিদের সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছি। তবে সরজমিনে দেখা যায় বাংলালিংক গ্রাহকদের কাছে গিয়ে তারা সরাসরি বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন করছেন। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মোবাইল অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওপ্রতিনিধিদের বৈঠক করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এসময় তিনি বলেন, ‘বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম/রিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থনিলে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের কালো তালিকাভূক্ত করা হবে। একেই সঙ্গে এসব রিটেইলারের অনুমোদন বাতিল করা হবে।’