বাংলার কন্ঠস্বরঃ দাঁড়ি রাখলেই ধরবে পুলিশ। তার পর চলবে দাঁড়ি নিধন। এমনই কাণ্ড ঘটে চলেছে তাজিকিস্তানে। সরকারী নির্দেশে গত দু’ বছরে লক্ষাধিক পুরুষের দাঁড়ি কামিয়ে দিয়েছে দেশটির পুলিশ। জোর করে দাঁড়ি কামিয়ে দেয়া ছাড়াও, দাঁড়ি রাখা লোকেদের আঙ্গুলের ছাপও রেখে দিচ্ছে প্রশাসন।
মুসলিম-প্রধান দেশ তাজিকিস্তানের কর্তৃপক্ষ বলছে, ধর্মীয় উগ্রপন্থার চর্চা ঠেকাতে গৃহীত তাদের মৌলবাদবিরোধী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই কাজ করছে তারা। দাঁড়ি রাখা এমন একটি প্রবণতা যা সম্পূর্ণরূপে বাইরে থেকে আসা এবং তাজিক সংস্কৃতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
তাজিক প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাহমান দেশের লোকদের প্রতি “ভিনদেশী মূল্যবোধ, পোশাক ও সংস্কৃতি গ্রহণ না করার” আহ্বান জানিয়ে প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, তাজিকিস্তানের ৯৯ শতাংশ মানুষই মুসলিম এবং এর মধ্যে কিছু শিয়া মতাবলম্বী ছাড়া অধিকাংশই সুন্নি ঘরানার। গত বছর পর্যন্ত মধ্য এশিয়ার এই দেশ থেকে প্রায় চার হাজার লোক সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন ইসলামপন্থী জঙ্গী সংঘের হয়ে তথাকথিত জিহাদে অংশ নিয়েছে।
দেশটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব-বোরখা নিষিদ্ধ। জনসমাগমে মুখ ঢাকা কোন ধরনের পোশাক পরিধান শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য।