ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে পুলিশে অদক্ষ জনবল নিয়োগ বন্ধের লক্ষ্যে কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি গ্রহণের চেষ্টা করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
নতুন পদ্ধতির অংশ হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তর ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করবে এবং পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সেটি যাচাই করবে। বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের(এসপি) নেতৃত্বাধীন একটি কমিটির মাধ্যমে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, কিছু মন্ত্রী, সাংসদ এবং দলীয় নেতাদের চাপের মুখে তাদের পছন্দনীয় এবং অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হয় এসপিকে। এজন্য বর্তমান নিয়োগ পদ্ধতির বিকল্প খুঁজছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গত বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে রাজধানীর গাবতলী এবং আশুলিয়া চেকপয়েন্টে পুলিশের উপর হামলা হলে তা মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হামলায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তার সূত্র থেকে জানা গেছে, যদিও নতুন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের ব্যাপারে জেলা পুলিশের ক্ষমতা হ্রাস পাবে তারপরও ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৪ জেলার এসপিই প্রক্রিয়াটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। আটজন এসপি এব্যাপারে কোন মতামত দেননি এবং দুজন এর বিরোধিতা করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ১৩০ জন শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে ৮৫ জন নতুন প্রক্রিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং ২৯ জন মতামত দেয়া থেকে বিরত থেকেছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন এসপি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ অনুযায়ী লোক নিয়োগ দিতে যেয়ে মাঝে মাঝেই আমাদের অস্বস্তিকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়।
তিনি আরো জানান, কেউ যদি রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে তবে তাকে অসৎ, সরকার বিরোধী এমনকি স্বাধীনতাবিরোধী পর্যন্ত অ্যাখ্যা দেয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়াটি পুলিশ সদর দপ্তর এবং আইজির অধীনে। তাদেরকে শুধুমাত্র নতুন পদ্ধতিটি সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করতে হবে।
নতুন এই পদক্ষেপ ইতিবাচক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি যে কোন পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। ডেইলি স্টার থেকে