বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের প্রতিবাদ কোনোভাবে সহ্য করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিয়ত হুমকিতে জাতি আজ আক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী এখন ‘হুমকি-কন্যা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
আজ রোববার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হুমকির মুখে দেশের মানুষের অধিকার আজ নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। ভোট, নির্বাচন, কথা বলা, সমালোচনা ও প্রতিবাদ, লেখা, প্রকাশ করা, চলাফেরা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ মানুষের সব স্বাধীনতা দ্বিতীয় মেয়াদের শেখ হাসিনার বাকশালে বন্দী হয়েছে। মানুষের অধিকার শব্দটিকে শেখ হাসিনা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। মূলত, তিনি জনমতকেই রাষ্ট্রীয় শক্তির জোরে হুমকি দিয়ে আটকে রেখেছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার জনরোষে উৎখাত হবে। তাই আগাম প্রতিক্রিয়ায় গুম, খুন, নিখোঁজ করা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ভয়াবহ সামাজিক নৈরাজ্য, গণতন্ত্রের বিনাশ হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁসে আটকে যাওয়ার ভয়ে তাই সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা বেআইনিভাবে ধরে রেখেছে।
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতা অভিযোগ করেন, সরকারি প্রশাসনিক সংস্থা ও সাংবিধানিক সংস্থাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘সুইচ’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন লজ্জা ঢাকার শেষ সুতাটুকুও বিসর্জন দিয়ে সরকারের ইচ্ছাপূরণে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি স্বাধীন সাংবিধানিক নির্বাচন কমিশনের মর্যাদার প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে বর্তমান কমিশন। তাই কমিশন বেহায়ার মতো আচরণ করছেন। তাঁদের ন্যূনতম লজ্জা থাকলে তারা অনেক আগেই পদত্যাগ করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।