নিজস্ব প্রতিবেদ // জেলার গৌরনদী উপজেলায় এক গৃহবধূ ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে ইরাক প্রবাসী স্বামীর পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত ঘটনা আঁড়াল করতে স্বামীর পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়েছে এমনটা দাবি করে সংশ্লিষ্ট থানায় মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর পরিবার। সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঙ্গিলা গ্রামের দেলোয়ার সরদারের মেয়ে রত্না আক্তারের (২০) সাথে তিন বছর আগে একই উপজেলার নন্দনপট্টি গ্রামের ইয়াকুব আলী সরদারের ইরাক প্রবাসী ছেলে আরিফ সরদারের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আয়ান নামের সাত মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগী ইরাক প্রবাসী আরিফের স্বজনরা জানান, আরিফের সাথে বিয়ের পর আরিফ দেশে থাকাকালীন সময়ে রত্না প্রায়ই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতো। এনিয়ে আরিফ ও রত্নার মধ্যে একাধিকবার ঝগড়াও হয়েছে। পরবর্তীতে আরিফ ইরাক চলে যাওয়ার সুযোগে রত্না আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আর এসব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বললেই প্রবাসী আরিফের পরিবারের লোকজনকে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিতো রত্না। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ফেসবুক এক যুবকের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে রত্নাকে শাসায় তার শ্বাশুড়ি সুফিয়া বেগম (৭০)। এতে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে রত্না তার বাড়ির লোকজনদের ফোন দিয়ে রাত ১টার দিকে ঘরের সকলের অজান্তে শিশু আয়ানকে নিয়ে নিজ পিত্রালয়ে চলে যান। প্রবাসী আরিফের মা সুফিয়া বেগম জানান, ঘরের সবাই ঘুমানোর পরে রাত সাড়ে ১টার দিকে শিশু আয়ানকে নিয়ে রত্না বাপের বাড়ি চলে যায়। এ সময় রত্না তার ব্যবহারের সকল জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরেরদিন তিনি বাদী হয়ে পুত্রবধূ রত্নার বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। তিনি অভিযোগ করে জানান, থানায় জিডি করার পরে রত্নাকে বাঁচাতে তার বাবা উল্টো আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করতে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার দাবি, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই রত্না ও তার পরিবার এই কৌশল অবলম্বন করেছেন।
Leave a Reply