বাংলার কন্ঠস্বরঃ
নতুন আইন-দিনের পাশাপাশি গভীর রাতেও নদীতে পাহারা, গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা। এতো কিছুর পরও বন্ধ করা যাচ্ছে না ইলিশ নিধন।
রাজধানীসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আইন অমান্য করে উন্মুক্তভাবেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার ভ্রান্ত সংস্কৃতি থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের বেশীর ভাগ মাছের বাজারেই নিয়ম ভেঙে এভাবে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। যদিও সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চির ছোট ইলিশ ধরা কিংবা বেচাকেনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের দাবি, বড় ইলিশ কেনার সাধ্য নেই বলেই তারা জাটকা দিয়ে বৈশাখে পান্তা-ইলিশের স্বাদ নিতে চান। আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, যারা নদী থেকে মাছ ধরে বাজারে নিয়ে আসছেন, তারাই মূলত অপরাধী।
তবে জাটকা ছাড়াও বাজারে বড় ইলিশের কোনই কমতি নেই। সেক্ষেত্রে প্রতিটি ইলিশের জন্য গুনতে হবে ১ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে। তবে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মার্চ, এপ্রিলে দেশের মোট জাটকার যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ধরা হয় তা বন্ধ করতে পারলে ইলিশ উৎপাদন আরো কয়েকশ গুন বেড়ে যেতো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে জাটকা ধরা বন্ধ করতে না পারার জন্য লোকবল ও আধুনিক সরঞ্জাম না থাকার খোড়া যুক্তি দিচ্ছে মৎস্য অধিদপ্তর।
তবে জাটকা ধরা বন্ধ করতে হলে সবার আগে বৈশাখকে কেন্দ্র করে পান্তা-ইলিশের যে ভ্রান্ত রীতি, তা থেকে সাধারণ মানুষকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।