বাংলার কন্ঠস্বর: ‘সখি ভালোবাসা কারে কয়’ রবীন্দ্রনাথের এ পংক্তি মানুষের মনে নানা রূপে, নানা ছলে উঁকি দিয়েছে। দেহজ প্রেম, মনোজ প্রেম, ঐশ্বরিক প্রেম বৃত্তবন্দি হয়ে গেছে একমাত্র মানুষের মস্তিষ্কের এই ভালোবাসার ঘেরাটোপে। তাই শুধু মানুষই বলতে পারে-
‘প্রিয়জনে যাহা দিতে চাই
তাই দেই দেবতারে,
দেবতারে যাহা দিতে চাই,
তাই দেই প্রিয়রে,
আর পাবো কোথা?
দেবতারে প্রিয় করি,
প্রিয়-রে দেবতা’
প্রেমতত্ত্ব
মনস্তাত্ত্বিক ও গবেষকরা নানা রকমভাবে প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। প্রেম একটি মৌলিক মানবীয় আবেগ। কিন্তু কীভাবে ও কেন এটি অনুভূত হয়- তা ব্যাখ্যা করা বেশ জটিল। ঠিক যেনো কবিগুরুর ভাষায়, ‘সহজ কথা যায় না বলা সহজে’। বহুদিন ধরে বহু মনীষী প্রেমকে প্রাচীন, রহস্যপূর্ণ আধ্যাত্মিক অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করে এসেছেন।
প্রেমতত্ত্বের প্রকারভেদ
ভালোবাসা বনাম ভালোবাসা: রোমান্টিক ভালোবাসা তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি। সংযুক্তি-আসক্তি, যত্ন ও আন্তরিকতা। সংযুক্তি-আসক্তির ক্ষেত্রে দরকার কারও যত্ন নেওয়া বা কারও কাছে থেকে যত্ন পাওয়া। কারও সম্মতি নিয়ে বা কাউকে সম্মতি দিয়ে দৈহিকভাবে স্পর্শ করা। যত্ন সুনিশ্চিত করে অন্যের প্রয়োজন ও খুশিকে নিজের খুশি বা নিজের প্রয়োজন বলে ভাবতে। আন্তরিকতা ইচ্ছা, চিন্তা, অনুভূতি ও ভাবের আদান-প্রদানকে জায়গা করে দেয়।
দরদী ভালোবাসা বনাম কামুক ভালোবাসা: দরদী ভালোবাসায় পারস্পারিক শ্রদ্ধা, সংযুক্তি, স্নেহ ও বিশ্বাস থাকে। এখানে উভয়ের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক এবং নিরাপত্তা ও স্থায়ীত্ব থাকে।
কামুক ভালোবাসা তীব্র অনুভূতি, যৌন আকাঙ্ক্ষা, দুশ্চিন্তা ও আকর্ষণের ভিত্তিতে স্থাপিত থাকবে। উভয়েই উল্লাসিত ও তৃপ্তবোধ করবে। এ ধরনের সুতীব্র প্রেমের স্থায়ীত্ব তিন মাস থেকে ৩০ মাস পর্যন্ত থাকে। এরপরও যদি এই প্রেম টেকে যায় তবে এটি ধীরে ধ%8