স্টাফ রিপোর্টর ॥ মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালে দুই গ্র“পে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কম পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ভাটারখাল বস্তিতে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. মাসুম নামে এক ছাত্রলীগকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছে। উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এরআগে গত ২৭ ফেব্র“য়ারি প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হামলায় স্থানীয় বাস্তুহারা লীগের সভাপতি বাদশা চৌধুরীর মা আমেনা বেগমসহ (৬৫) উভয় গ্র“পের ১০জন আহত হয়েছিলেন। মূলত সেই দ্বন্দ্বে জেরেই ফের গতকাল নিরাপদ স্থানে পেয়ে ওই আ.লীগ নেতাসহ তার দুই অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় পুরো বস্তিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেনের সাথে বার বার যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে বাদশা চৌধুরী জানান, বেলা ১টার দিকে কলোনীর পাশে মাঠে তার কর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে তার প্রতিপক্ষ আলমঙ্গীর সরদারের ছেলে রুবেল, মেয়ে জামাই সুমন এবং সাদ্দামসহ ১০ থেকে ১২জন ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়ে আ.লীগ নেতা এবং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি সুস্থ হলেও অপর ছাত্রলীগ কর্মী মো. মাসুমের অবস্থা আশঙ্কাজন। শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সৌরভ সুতার জানান, মাসুমের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাছাড়া তার শরীরের একাধিক স্থান দায়ের কোপে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। কিন্তু জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি জানান, কলোনীতে উভয় গ্র“পের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তাতারে পুলিশ কাজ করছে। বেলা সোয়া তিনটায় সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, র্যাবের একটি টিম হামলার ঘটনায় জড়িত আলমঙ্গীর সরদার এবং তার ছেলেসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারের নগরীর বিভিন্ন স্থানে তল্ল¬াশী চালাচ্ছে।