ডা. ঈশিতার আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এ জন্য আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।’
রায় ঘোষণার সময় ডা. ঈশিতা ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। খালাস পাওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।
২০২১ সালের ১ আগস্ট মিরপুর থেকে ডা. ঈশিতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে পরদিন ২ আগস্ট ভুয়া পরিচয় দেওয়া, মাদক ব্যবসা, সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাদক ও প্রতারণা আইনে রাজধানীর শাহআলী থানায় তিনটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের ১৪ মাস পর ২০২২ সালের ১ অক্টোবর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।
মামলাগুলোর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ডা. ইশিততাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর আপিল করা হয় হাইকোর্টে। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৯ মে হাইকোর্ট তাকে খালাস দিয়ে এ রায় ঘোষণা করেছেন।
১০০ পিচ ইয়াবা এবং পাঁচ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের ঘটনায় ২০২১ সালের ২ আগস্ট শাহ আলী থানায় মামলাটি করেন র্যাব-৪ এর ডিএডি খন্দকার মো. আমির আলী।
মামলাটি তদন্ত করে র্যাব-৪’র উপপরিদর্শক (এসআই) মঈনুল হোসেন ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।