মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি:এক সময়কার ভদ্র ও শিক্ষিত মানুষের বাস হিসেবে সুখ্যাতি ছিল মেহেন্দীগঞ্জের লতা ইউনিয়নের কাদিরাবাদ গ্রাম।শিক্ষা-দীক্ষায়ও এগিয়ে ছিল এই গ্রামের জনগন।তাদের সেই সুনাম সুখ্যাতি যেন দিন দিন এক একটা অপকর্ম দ্বারা হারিয়ে যেতে বসেছে।গুনী জনের সম্মান,মুরব্বীদের প্রতিশ্রদ্ধাবোধ দিন দিন যেন শুন্যের কোটায় এসে পড়েছে।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় আজ যেন ১৩/১৪ বছরের বালকেরাই সমাজের কর্তা সেজে বসে আছে।এ যেন সেচ্ছায় মুরব্বী সমাজ তাদের দায়-দায়িত্ব এই সমস্ত সমাজের কুলাংগার ছেলেদের হাতে ন্যাস্ত করে দিয়েছে।এখন কথায় কথায় বড়দের গায়ে হাত দিতেও কুন্ঠাবোধ করছে না এই নব্য সেজে বসা ১৩/১৪ বছরের ছেলেরা।আজ তারা ইচ্ছে মত সমাজে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সমাজের শালিস থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তারা।অবস্থা দেখে মনে হয় যেন এই সমাজ টা মুরব্বী শুন্য হয়ে পড়েছে। কে তাদের বাবা আর কে বড় ভাই কাউকে ই পরোয়া করছে না তারা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরুব্বী বলেন,” বাবা তাদের নিয়ে আর কি কমু…জানতে পারলে বিপদ এখন আর সেই যুগ নাই কলি যুগ আইছেরে বাবা,কে মুরব্বী আর কে কি তার ও বাছ-বিচার নাই। হারাদিন কি জানি টানে,আগের পোলাপাইন বিড়ি খাইলেও মুরব্বী দেখলে গুইজ্জা থুইতো আর এহনের পোলাপাইন পারলে বিড়ি টান দিয়ে ধুয়া আমাগো মুহে (মুখে)ছাড়ে। চাচার কথা” কি জানি টানে” কথার সুত্র ধরে আমরা এগিয়ে যাই অনুসন্ধানী রিপোর্ট তৈরী করতে। আমাদের এই অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে চলে এসেছে এক ভয়াবহ মাদক চক্রের সন্ধান।খুজে পেয়েছি তাদের আস্তানা,কোথায় কোথায় বসে তারা সেবন করছে এই জীবন ধ্বংসের মাদক দ্রব্য।খুজে পেয়েছি কারা এইসব ঢুকাচ্ছে কাদিরাবাদ গ্রামে,তাদের নাম,পরিচয় বর্তমান অবস্থান, কাদিরাবাদ গ্রামের প্রথম মাদক বহন ও সেবনকারী ব্যাক্তির পরিচয় এবং তার পরবর্তীতে এই পর্যন্ত এই ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ধাপ নিয়ে আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আসছে পরবর্তী পর্বে।