স্টাফ রিপোর্টার ॥ চারিদিকে নদী ঘেরা জেলার একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে। ফলে প্রতিদিন এ হাসপাতালে আগত রোগীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, নানা সমস্যায় জর্জরিত এ হাসপাতালটিতে মিলছে না প্রত্যাশিত সেবা। ডাক্তার, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি সংকটে হাসপাতালটি অচলাবস্থায় পরিনত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি এ হাসপাতাল থেকে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে চিকিৎসা বঞ্চিত সাধারন রোগীরা উপজেলার বিভিন্ন হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি এ হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ নয়জন মেডিক্যাল অফিসারের পদ থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রাকিবুল হাসান মিশু। প্রতিদিন হাসপাতালে আগত শত শত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া তার একার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়াও রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হওয়ার পরের দিনই তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রোগ নির্নয়ে যেকোন পরীক্ষার জন্য রোগীদের হাসপাতালের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চিকিৎসকের চরম সংকট ও হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ থাকায় প্রতিনিয়ত ছোটখাটো যেকোন রোগের জন্য এখন সাধারন রোগীদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। এতে করে আর্থিক সংকটে সাধারন রোগীদের চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকেরও একই দুর্দশা। এ ব্যাপারে বরিশালের সিভিল সার্জন এএফএম শফিউদ্দিন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যর সাথে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই চিকিৎসক সংকটের সমস্যা সমাধান করা হবে।