রমজানুল মোরশেদ,ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে যৌতুকের দাবি পুরন করতে না পারায় শ্বশুড় বাড়ির নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন গৃহবধু ফাতেমা বেগম ছনিয়া (২৫)। আহত গৃহবধু ছনিয়ার বাবা আবুল কালাম জানান, গাড়ী কেনার জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে জামাতা আক্কাস হাওলাদার। এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত বুধবার (০৬ জানুয়ারি) শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় ছনিয়ার শ্বশুড় বাড়িতে বসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক পিটায় আক্কাস হাওলাদার ও তার মা ময়ুরী বেগম বাবা জলিল হাওলাদার, ভাই মো. আবুল হাসান, বোন কুলসুম আক্তার, আয়েশা আক্তার এবং শান্তা আক্তার। বেধরক মারধরে অজ্ঞান হয়ে পরে ছনিয়া। মেয়ের অজ্ঞানের খবর শুনে বাবা আবুল কালাম ওই বাড়িতে গেলে তাকেও মারধর করে আক্কাস হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দু’জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। বাবা আবুল কালাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পেটের টানে কাজে যান। আর গৃহবধু ছনিয়া হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রনায় ছটপট করছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বলেন,‘ স্যার প্রায় ১০ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। সংসারে চার বছর বয়সি একটা একটা কন্য সন্তান (ফাহিমা আক্তার ) রয়েছে। বেশ কয়েক বার যৌতুক দাবি করে আমার স্বামী। যৌতুক না দিলে আমার উপরে নির্মম নির্যাতন চালাত। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার সালিশিও হয়েছে। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বেশ কয়েক বার বাবার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিয়েছি। এখন টাকা না পেয়ে আমাকে মারধর করেছে। আমি এর নায্য বিচার চাই।’ এব্যাপারে ঝালকাঠি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানাগেছে। অভিযুক্ত আক্কাস হাওলাদারে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মারামারির সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমার বোনদের সাথে ঝামেলা হয়। এর পরে তাদের সাথে হাতা-হাতি হয়েছে। যৌতুকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,‘ ওর সাথে আমার সাংসারিক ঝামেলা আছে ও আদালা থাকতে চায় এজন্য আমার নামে মিথ্য রটাচ্ছে।’ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ছনিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘারে চিহ্ন রয়েছে।’ ঝালকাঠি থানার ওসি মাহে আলম বলেন,‘ এব্যাপারে আমরা এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।