লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পিতা ও পুত্রের লালসার শিকার হয়েছে এক নারী।
বিধবা ওই নারী ন্যায় বিচারের আশায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাতীবান্ধা থানায় কিন্তু ঘটনার ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেননি থানা পুলিশ। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি করছে।
সরেজমিনে জানা যায় একই এলাকার জসিম মাষ্টারের বাড়িতে গৃহপরিচালিকার কাজ করতেন ভুক্তভুগি ওই নারী। সেই থেকে বাড়ীর মালিক জসিম মাষ্টার প্রায় তাকে কু-প্রস্তাব দিতেন। সেই প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় জসিম মাষ্টার তাকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টাও করেছিলো দাবী ভুক্তভুগি ওই নারীর। এর পর সুস্থ হলে জসিম মাষ্টরের ছেলে সেলিমের কু -নজরে পড়েন ছামিনা। এর এক পর্যায়ে বিধবা ওই নারীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করেন সেলিম। বিয়ের এক বছর পর জসিম মাষ্টারসহ পরিবারের চাপে ছামিনাকে এক পক্ষ তালাক দেন সেলিম। কিন্তু ছামিনার প্রতি জসিম মাষ্টার এবং ছেলে সেলিমের লালসা যেন শেষ হয় না।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ছামিনা খাতুন প্রকৃতির ডাকে সারাদিতে ঘর থেকে বাইরে যান। ঘরে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়ার সময় তার তালাক দেয়া স্বামী সেলিম হোসেন খাটের নিচ হতে বের হয়ে জড়িয়ে ধরে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। এসময় ছামিনার চিৎকারে তার ভাবী ও এলাকাবাসী এসে সেলিমকে আটক করে। এখবর জানাজানি হলে সেলিমের ভাই ভাতিজা এসে ভুক্তভুগি ওই নারীকে মারধর করে সেলিমকে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে জসিম মাষ্টার ও তার ছেলে সেলিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত সেলিমের ছোটভাই কেতকিবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম ফোন রিসিভ করলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেয়
অভিযুক্তরা হলেন, ওই উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকিবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের বড়ভাই একেএম সেলিম হোসেন (৪৮) তার বাবা জসিম উদ্দিন মাষ্টার (৭০) , সেলিম হোসেন এর পুত্র সার্থক ও আব্দুস সালামের পুত্র সাফল্য(২৪),শাকিব হাসান (২২)।
ভুক্তভুগি ছামিনা বেগম ( ৩৭) ৮ নং নওদাবাস ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মৃত আকবর আলীর মেয়ে।
এবিষয়ে হাতীবান্ধা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শাহা আলম বলেন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দেখা যায় বিধবা ওই নারীর অভিযোগ সত্য তাই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply