আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের জন্য আমরা দুটি কমিটির খসড়া করেছিলাম। এটা নিয়ে আমরা এক দিন বসেছিলাম। সেখানে আমরা তাকে (এম এ আজিজ) সভাপতি করেছিলাম। এটা নিয়ে আরেক দিন বসার কথা ছিল। কিন্তু আমি এত ব্যস্ত ছিলাম, আর বসা হয়ে ওঠেনি। এর মধ্যে তিনি মারা গেলেন। আমরা এই কমিটিগুলো দেব। ”
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “এক-এগারোর প্রেক্ষাপটে ও সিটি নির্বাচনে যারা দলের পক্ষে কাজ করেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলা করেছেন, কমিটিতে তাদের সম্মান দিতে হবে। প্রায় সাড়ে চার শ নেতাকর্মীর নাম আমার কাছে এসেছে। এই নামের তালিকা নিয়ে আমি এক দিন বসেছি।”
এম এ আজিজের মৃত্যুতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি সংগ্রামে এম এ আজিজ পরিবারের অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে এই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক-এগারোর সময় আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হলো, আমার মুক্তির জন্য কখনো কারাগারের সামনে, কখনো কোর্টে এম এ আজিজ সক্রিয় ছিলেন। সেই সময় মহানগর আওয়ামী লীগ সক্রিয় ছিল বলেই মুক্তির বিষয়টি ত্বরান্বিত হয়।”
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এ কে এম রহমতউল্লাহ, এম এ আজিজের ছেলে ওমর বিন আব্দুল আজিজ প্রমুখ।