বাংলার কন্ঠস্বরঃ স্টেড মেডিকেল ফ্যাকালটির অধীনে পরিচালিত মেডিকেল টেকনোলজি ইন্সটিটিউটগুলোতে চলছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য,মানহীন শিক্ষা ও ব্যবহারিক জ্ঞান না থাকায় কর্মজীবনে দক্ষতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে টেকনোলজিস্টদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে বেসরকারি পর্যায়ে মেডিকেল টেকনোলজি ইন্সটিটিউট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর গত ২০ বছরে দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে মেডিকেল টেকনোলজি ইন্সটিটিউট।
শিক্ষা মন্ত্রনলয় অাওতাধীন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরিচালিত মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স থাকা সত্বে ও স্টেড মেডিকেল ফ্যালটি কেন এই অর্থহীন কোর্স পরিচালনা করছে। শুধুমাত্র সনদ পাওয়ার আশায় ভর্তি হচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী। সে সুযোগে ইন্সটিটিউটের মালিকরাও হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
এদিকে, ইন্সটিটিউটগুলোতে অভিজ্ঞ শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান ও ব্যবহারিক জ্ঞান চর্চা নিয়ে প্রশ্ন সরকারি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। এমনকি কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পরিবর্তে ক্ল্যাশ পনরচালনা করছে পিয়ন ও কেরানি।
এসব ইন্সটিটিউটগুলোতে নেই কোন মনিটরিং, স্টেড মেডিকেল ফ্যাকালটি নামের অবৈধ সংস্থাটি থেকে অনুমোদন এনে করে যাচ্ছে সার্টিফিকেট বানিজ্য।
অন্যদিকে বাংলাদেশের শিক্ষা আইন অনুসারে এইচএসসি সমমানও ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট প্রদান করার একমাত্র বৈধ প্রতিষ্ঠান শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। সেখানে কিভাবে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ এইচএসসি সমমান সনদপত্র প্রদান করে? আরও দেখা গেছে তাদের প্রদানকৃত সনদ পত্রে কোন জিপিএ বা বিভাগ নেই। তাহলে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সনদ পত্র কিভাবে এইচএসসি/ডিপ্লোমা সমমান হয়?
যেখানে সারা বিশ্বে সকল ধরনের টেকনিকেল কোর্স পরিচালনা করে টেকনিকেল এ্যাডুকেশন বোর্ড এবং বাংলাদেশ সরকারের গ্রেজেডে উল্লেখ অাছে বাংলাদেশের সকল টেকনিকেল কোর্স পরিচালনা করবে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।