
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সচিব আখতার আহমেদ জানান, ব্যক্তি বা সংস্থার পর্যবেক্ষক নিয়োগ শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অধিকতর তদন্ত শেষে চলতি সপ্তাহে চূড়ান্ত করা হবে। রোডম্যাপ থেকে ইসি কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও, এটি নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। এছাড়া আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদের পর্যায়ে রয়েছে। বিএনপির দাবির বিষয়ে কমিশন শিগগিরই করণীয় জানাবে।
কিছু রাজনৈতিক দল ইসির পুনর্গঠন চায়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মন্তব্য নেই।’
এ সময় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১টি বলে জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব।বলেন, ‘আমরা আজ চূড়ান্তভাবে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করেছি। মোট ৬৪টি জেলার ৩০০টি সংসদীয় আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৭৬১টি। কক্ষের হিসেবে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি।’
আখতার আহমেদ আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি, যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটকক্ষ থাকবে। একটি ভোটকক্ষে গড়ে ৩ হাজার ভোটার থাকবে। এটি ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে ধরা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে এই সংখ্যা সামঞ্জস্য করা হবে।
ইসির খসড়া অনুযায়ী, খসড়া ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৬১৮টি, যা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ছিল ৪২ হাজার ১৪৮টি। সেই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে এই ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে মোট ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি, যা গত নির্বাচনে ছিলন ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। অর্থাৎ আসামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র বাড়লেও কমেছে ভোটকক্ষ।
সম্পাদক : মো: রাকিবুল হাছান(ফয়সাল)।