বাংলার কন্ঠস্বর অনলাইন: সন্তানকে শিক্ষা দিতে গিয়ে তার সঙ্গে ঠিক কোন পর্যায়ের সম্পর্ক রাখা উচিত সে বিষয়ে অনেকেরই ধারণা থাকে না। এক্ষেত্রে এ লেখায় দেওয়া হলো কিছু পরামর্শ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। পরামর্শগুলো দিয়েছেন, প্রিন্স আলি খান হাসপাতালের সাইকোলজিস্ট/কাউন্সেলর নেহা শাহ।
পিতা-মাতার জন্য গাইডলাইন
করণীয়-
–সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পিতা-মাতার সম্পর্কের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখুন।
–নিজেকে ভালোবাসা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার শিক্ষা দিন। তারা যেন স্বাধীনচেতা হয় এবং কারো ওপর নির্ভর না করে সেজন্য জোর দিন।
–সন্তানকে ঘনিষ্ঠতা সিদ্ধান্ত বিষয়ে শিক্ষা দিন যেন নিজে ভালোভাবে চিন্তা করে তবেই কোনো সম্পর্কের ব্যাপারে আগ্রহী হয়।
যা বর্জন করবেন-
–আপনার ও সন্তানের মাঝে কৃত্রিম দেয়াল তোলা। সন্তান আপনার সঙ্গে আলাপ করতে নিরুৎসাহিত হয়, এমনটা করবেন না।
–কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াই যে বাজে, এমনটা যেন আপনার আচরণে প্রকাশ না পায়।
–সম্পর্কের ব্যাপারে তাদের সব সিদ্ধান্তকে দোষ হিসেবে দেখবেন না।
সন্তানের জন্য গাইডলাইন
–পিতা-মাতাকে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক বিষয়ে অবহিত করুন। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বিষয়টি জানিয়ে রাখুন, তা ছেলে কিংবা মেয়ে যাই হোক না কেন।
–স্বাধীনতা মানে অনেক বেশি দায়িত্ব। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পরেই স্বাধীনতার কথা ভাবতে হবে।
–পিতামাতার সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনা করুন।
–যে কোনো কঠিন বিষয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন এবং নিজেই উত্তর খুঁজে নিন।
যা করবেন না-
–স্বাধীনতার অপব্যবহার করবেন না। এতে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনতে পারেন।
–পিতামাতার আবেগ ব্যবহার করে একরকম ব্ল্যাকমেইল করা।
–সত্য গোপন করা।
–সম্পর্কের বিষয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেওয়া।
সম্পাদনাঃ গাজী মামুন আহম্মেদ। (বাংলার কন্ঠস্বর )