বাংলার কন্ঠস্বর প্রতিবেদক : জেলার দাউদকান্দিতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে রুহিদাশ বিশ্বাস (৩২) নামে এক হাইস্কুল শিক্ষক তার স্ত্রীকে হাতের রগ কেটে ও পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত স্বামী দাউদকান্দি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক।
উপজেলার পৌর সদরে সাহাপাড়া গ্রামে রবিবার রাতে কনিকা রানী দাশ (২২) নামে ওই নববধূকে হত্যা করা হয়।
কনিকা রানী দাসের মামা সমীর দাশ জানান, গত ৪ আগস্ট রুহিদাশের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের সাহাপুর গ্রামের সুবোধ দাসের একমাত্র মেয়ে কনিকার বিয়ে হয়।
মাসখানেক যেতে না যেতেই রুহিদাশ বিশ্বাস কনিকাকে বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসতে চাপ দেওয়া শুরু করে। পরে মেয়েকে সুখে রাখার জন্য বাব-মা আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে কর্য করে এক লাখ টাকা রুহিদাশের হাতে তুলে দেন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তী সময়ে বাকি চার লাখ টাকার জন্য কনিকা রানী দাসকে বিভিন্নভাবে মানসিক ও স্বারীরিক অত্যাচর করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাতে কনিকার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা তাকে বেদম মারধর ও হাতের রগ কেটে হত্যা করে। সোমবার সন্ধ্যায় কনিকার মরদেহ তার বাবার বাড়ি সোনারগাঁওয়ের সাহাপুর গ্রামে দাহ করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের স্বামী স্কুলশিক্ষক রুহিদাশ বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।