বাংলার কন্ঠস্বর প্রতিবেদক : যেন অন্য এক মোহামেডানকে দেখা গেল চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। কি ডিফেন্স, কি আক্রমণ, সব বিভাগেই একক আধিপত্য। যার ফলও পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। ৬-১ ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার ক্লাব সলিড এফসির বিপক্ষে গোল উৎসব করেছে জসিম উদ্দিন জোসির শিষ্যরা। এখনো পর্যন্ত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপে এটিই সবচেয়ে বড় জয়।
আফগানিস্তানের বাজান এফসির কাছে হার দিয়ে গ্রুপপর্ব শুরু হয়েছিল মোহামেডানের। তাই বড় জয় সত্বেও সেমিফাইনালের টিকিট পেতে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাদেরকে। আগামী রবিবার যেই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ কলকাতা মোহামেডান ক্লাব। অবশ্য প্রথম ম্যাচে হেরেছে কলকাতা মোহামেডানও। শুক্রবার তারা দ্বিতীয় ম্যাচে খেলছে আফগানিস্তানের বাজান এফসির বিপক্ষে।
যেই ইব্রাহিম ও নাবিব নেওয়াজ জীবনরা প্রথম ম্যাচে গোল মিসের মহড়া দিয়েছিলেন তারাই শুক্রবার দলের পক্ষে করেছেন গোল উৎসব। দেশীয় তরুণ উদীয়মান ফুটবলারদের নৈপুণ্য পুরো গ্যালারি তো বটেই দেশের ফুটবলপ্রেমীদের বিনোদিত করেছে। বরাবরই বাংলাদেশের ফুটবলারদের ফিনিশিংয়ে যে দুর্বলতা ছিল, তার ছিটেফোটাও ছিল না এই ম্যাচে। বল নিয়ে মোহামেডানের ফুটবলাররা যখনই বক্সে ঢুকেছে, বলা যায় তখনই গোল হয়েছে। তাই বড় জয়ের এই দিনে ম্যাচসেরা হয়েছেন সদ্য জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া বিজেএমসি থেকে ধারে আনা স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন।
প্রথমার্ধেই মোহামেডান করেছে ৪ গোল। ধারে খেলা ডিফেন্ডার ফয়সাল মাহমুদ ১০ মিনিটে গোলের সূচনা করেছেন। ১৮ মিনিটে ডান দিক থেকে ইব্রাহিমের দেওয়া বলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন মাশুক মিয়া জনি। ২৫ মিনিটে অধিনায়ক অরূপ কুমার বৈদ্য করেছেন তৃতীয় গোল। আর ৩২ মিনিটে ধারে খেলা বিজেএমসির স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন করেছেন চতুর্থ গোলটি।
অবশ্য প্রথমার্ধে এক গোল শোধ করেছে সলিড এফসি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ওলিয়ামি দুর্দান্তভাবে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের ভিতর প্রবেশ করেছেন। মোহামেডানের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা সামনে এগিয়ে এসে ঝাপ দিতে গিয়ে পড়ে যান। তাই শূন্য পোস্ট পেয়ে বল জালে প্রবেশ করান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডানের বল পজিশনে কিছুটা ধীরগতি দেখা যায়। এ সময় বেড়েছে ভুল পাসও। এরপরও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সলিড এফসি। বরং উল্টো আরও দুই গোল করেছে সাদা-কালো শিবির। ৪৯ মিনিটে লামিন কামারা দলের পক্ষে পঞ্চম গোল করেছেন। ৭৫ মিনিটে শেষ গোল করেছেন হাবিবুর রহমান সোহাগ। ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ মাঠে নেমেই ডানপ্রান্তে গোললাইনের কাছাকাছি জায়গা থেকে বল কাটিয়ে বক্সের সামনে ক্রস করেছেন। সেই বলে একা দাঁড়িয়ে থাকা সোহাগ দুর্দান্ত শটে গোল করেছেন।
তাই ৬-১ গোলের বড় জয় পায় ঢাকা মোহামেডান। যা কলকাতা মোহামেডানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগে মনোবলের দিক থেকে তাদেরকে খানিকটা এগিয়েই রাখবে।