বাংলার কন্ঠস্বর প্রতিবেদক : ভারতের চেন্নাই শহরে এ আর রহমান প্রতিষ্ঠিত কে এম কলেজে সঙ্গীত বিষয়ে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করার সুযোগ পেয়েছেন নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের মেয়ে অন্তরা রহমান পিয়া। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউডা’র সঙ্গীত বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়াকালীন এ আর রহমানের কে এম কলেজে সুযোগ পান অন্তরা। সেখানে তিনি ‘পাশ্চাত্য সংগীত’ বিষয়ে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করছেন।
অন্তরার বাবা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘অন্তরা বর্তমানে ভারতের চেন্নাইয়ে রয়েছে। আমাদের স্বপ্ন অন্তরা তার মেধার মাধ্যমে বাংলা গানকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে। শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চার মাধ্যমে নিজেকে এবং দেশকে উজ্জ্বল করবে। সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে।’
গানের সঙ্গে সখ্য অন্তরার ছোটবেলা থেকে। বাবা-মা দু’জনেই গানের মানুষ। গান ভালোবেসেই হয়তো মেয়ের নাম রেখেছিলেন অন্তরা। সঙ্গীতের পথে একের পর এক সাফল্যে অন্তরাও তার নামকে উজ্জ্বল করে চলেছেন। এবার সেই পথেই আরও এক ধাপ এগুতে পা রাখলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতকার এ আর রহমানের সঙ্গীত কলেজে।
ছোটবেলায় বাবা-মায়ের কাছেই অন্তরার গানের হাতেখড়ি। এরপর ওস্তাদ জাকির হোসেন, খালিদ হোসেন, অসীত দে’র মতো গুণী সঙ্গীতজ্ঞদের কাছে নিয়েছেন সঙ্গীতের তালিম। এ ছাড়া নজরুল একাডেমীতে চার বছরের সঙ্গীত শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। সরকারি সঙ্গীত কলেজ থেকে ‘আই মিউজ’ সম্পন্ন করে ইউডা’তে সঙ্গীত বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন। ইউডা থেকেই সুযোগ পান এ আর রহমানের সঙ্গীত কলেজে।
জনপ্রিয় হওয়ার জন্য সঙ্গীতশিল্পী হতে হবে এমনটা মনে করেন না অন্তরা। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন সময় টেলিভিশন ও মঞ্চে গান গেয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অন্তরা বিটিভির তালিকাভুক্ত আধুনিক ও রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতেও সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত।
অন্তরার বাবা মো. মজিবুর রহমান একজন গীতিকার, সংগীতশিল্পী ও বংশীবাদক। মা সেলিনা খান রুনা সঙ্গীতশিল্পী। অন্তরার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের কেওয়ার দিঘী গ্রামে।