:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসির নৌ শাখার এক ক্যাডেট সদস্যকে আজ রোববার মারধর করে অচেতন করে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আহত ওই বিএনসিসি সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্র রাশেদুল ইসলাম। তাঁর মাথায় ও কোমরে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে বিএনসিসির সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন রাশেদুল ইসলাম। এ সময় প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মী ও ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমানের পরিচয়পত্র দেখতে চান রাশেদুল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাশেদুল কলা অনুষদ ভবনের নিচে এক শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের মাহমুদ, রিয়ন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন বিপুলসহ আরও কয়েকজন রাশেদুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কিল, ঘুষি, লাথি খেয়ে একপর্যায়ে রাশেদুল অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁরা অনুষদ ভবন থেকে পালিয়ে যান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঘটনাস্থল থেকে রাশেদুলকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের এই কর্মীরা তৌহিদুরের বন্ধু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁর মাথায় ও কোমরে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। তাঁকে সিটিস্ক্যান করাতে হতে পারে।’
তৌহিদুর বলেন, ‘কথা-কাটাকাটির জের ধরে যে ওরা (বন্ধুরা) এমন ঘটনা ঘটাবে আমি জানতাম না। পরে শুনেছি। ঘটানাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ছাত্রলীগের কেউ নয়।’
তবে রাশেদুলের বন্ধুরা দাবি করেন, ওই ঘটনার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। কারণ রাশেদুল কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়।
এ ব্যাপারে প্রক্টর মাহবুবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাঁদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পাদনাঃ এস.এম রাকিবুল হাছান(ফয়সাল)