বাংলার কন্ঠস্বর প্রতিবেদক : বিএনপির দাবি অনুযায়ী ১৫ দিন নির্বাচন পেছানের বিষয়ে সোমবার কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একই দিন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না— সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের রবিবার বিকেল ৫টায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বিএনপি সাক্ষাতকালে যে দাবি তুলে ধরেছে সে বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে সোমবার কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমাদের কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিধি অনুযায়ী নির্বাচন করার শেষ সময় ৭ ফেব্রুয়ারি। সেক্ষেত্রে আমরা অল্প সময় পেয়েছি। আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি ছিল। বিধি অনুয়ায়ী ৩০ তারিখ নির্বাচন করতে না পারলে আইন ভঙ্গ হবে।’
কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, ‘জানুয়ারিতে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। কারণ ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এরপর কিছু দাবি-আপত্তি থাকে, সেগুলোও নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কাজেই জানুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
বিএনপির দাবি অনুযায়ী আটক নেতাদের মুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশন কোনো উদ্যোগ নেবে কি না— জানতে চাইলে রকিবউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের এ্যাকশনগুলো কোর্টে চলে যায়। কোর্ট যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে যেন অযাচিতভাবে আটক বা হয়রানি করা না হয়।’
বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার দুপুরে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় তারা আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণায় এমপি (সংসদ সদস্য) ও মন্ত্রীদের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেন।
এ ছাড়া নির্বাচন ১৫ দিন পেছানোসহ দলটির মহাসচিব এবং সকল আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে সরকারের এমপি, মন্ত্রীরা যেন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতেও ইসির কাছে লিখিত আবেদন করা হয়।