কারাগারের আশপাশ কঠোর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। সকালের দিকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের আশ পাশের রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে ফাঁসির মঞ্চও প্রস্তুত রয়েছে। অপেক্ষা শুধু ফাঁসির। এই ফাঁসির পর পরই পুরান ঢাকার এই কারাগারটি রূপ নেবে কারা জাদুঘরে। কারণ এরপর নতুন বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় কারাগারটি চলে যাবে ঢাকার কেরানীগঞ্জে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এমন খবর জানা গেছে।
বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আপিলেও ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ। আর তাই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের এই শীর্ষপর্যায়ের দুই নেতার ফাঁসিই এই কারাগারের শেষ ফাঁসি বলে বিবেচিত হতে পারে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, ঠিক কখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসির মঞ্চে উঠানো হবে তা নিশ্চিত নয়। তবে তাদের ফাঁসি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই হবে। তবে আজ রাতেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ফাঁসির মঞ্চে জল্লাদ মহড়া দিচ্ছে। তবে এই ধরনের কাজ কারাগারের নিয়মিত কাজেরই একটা অংশ।
এদিকে, ‘মুজাহিদ ও সাকার রিভিউ আবেদন খারিজের লিখিত রায় শিগগিরই কারাগারে যাবে। আর যখন মৃত্যুপরোয়ানা কারাগারে যাবে, তখন থেকে রাষ্ট্র যে কোনো তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে বলে ওই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে যদি এর মধ্যে রিভিউ পিটিশন ও মার্সি পিটিশন করা হয়, তখন মৃত্যুদ- কার্যকরের প্রক্রিয়া আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু গতকাল রিভিউ পিটিশন খারিজ হয়ে গেছে, কোনো স্থগিতাদেশও নেই, সুতরাং এটা কার্যকর করতে কোনোরকম অসুবিধা নাই। এমনটি জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল।
আইমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের জন্য সাত দিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা উভয়ের সঙ্গে করাগারে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির পর জাদুঘরে রূপ নেবে কেন্দ্রীয় কারাগার
Total Page Visits: 69 - Today Page Visits: 1