বাংলার কণ্ঠস্বর- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, “এই খালেদা জিয়াই বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন, তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছেন; তাদের বিচারের হাত থেকে রক্ষার জন্য আন্দোলনের নামে শত শত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়াকে দেখলাম আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। এটা জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।” আমার বিশ্বাস আছে বাংলাদেশের মানুষের ওপর’ এমন বক্তব্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৃত্যু নিয়ে আমি ভাবি না, আমার হারানোর কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষকেই তো আপন করে নিয়েছি। এই মানুষের জন্যই আমার বাবা-ভাই-মা জীবন দিয়ে গেছেন। আমার একটাই লক্ষ্য- এ দেশের একটি মানুষও যেন গৃহহারা না থাকেন, দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারেন- এটাই আমি চাই।
তিনি বলেন, ধার করে ঘি খাওয়ার চেয়ে নিজের শক্তিতে নুন খাওয়াই বড় কথা। ভিক্ষা করে বিলাসিতা করে নয়, কুঁড়ে ঘরে থেকে, কুঁড়ে ঘরেই থাকবো। তাও কারো কাছে হাত পাতবো না। মাথা নত করবো না। বাংলাদেশের মানুষকে সেই চেতনা নিয়েই থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধাকেও দেখা যায় খালেদার সঙ্গে যেতে। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়। আমি এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সচেতন হতে বলব।” বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন,“স্বাধীনতার পর হত্যা-ক্যু আর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে জিয়াউর রহমান। বেঈমান মোশতাক ক্ষমতায় এসে তিন মাসও টিকতে পারেনি। ক্ষমতা ভোগ করেছে জিয়াউর রহমান। এই জিয়াই প্রথম যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে; তাদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়েছে। আবার খালেদা জিয়াও একই কাজ করেছে।”