অমিত বনিক অপু, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া আসামী সুমন হোসেন (২৫) এর লাশ ১৮ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। সুমন হোসেন শহরের বাঁশপট্টি এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল নৌ ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ ব্যাপারি জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসংগত, গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের সিটিপার্ক রোডের হাবিব মিয়ার স’মিলের কাছে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দেয় আসামি সুমন হোসেন। এরপর থেকে নিখোঁজ থাকার পর সকালে নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম হোসেন বলেন, শহরের রোনান্স রোডের সাবেক স্কুল শিক্ষক কাঞ্চন আলী খান বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের প্রকাশনা সম্পাদক লিমন নকিব ও সুমনসহ অজ্ঞাত আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে রোববার সকালে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ছাত্রলীগ নেতা লিমন নকিবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে, বিকেলে আসামি সুমনকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুমন শহরের মসজিদ বাড়ি সড়ক থেকে দৌড়ে সিটিপার্ক রোডের হাবিব মিয়ার সমিল এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দেয়।