বাংলার কন্ঠস্বরঃ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৪ বছর পার হলেও ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে গড়ে উঠেনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলার সাবেক ইউএনও মাহাবুব হাসান শাহীন ২৬ মার্চ ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ গড়ার। সে সময় তিনি তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি করা শুরু করেন। যার উদ্বোধন করেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন)।
উপজেলার সাবেক ইউএনও মাহবুব হাসান শাহীন (বর্তমানে অ্যাডিসনাল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিশোরগঞ্জ) মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ডিজিটাল আর্কাইভের পাশাপাশি উপজেলার বিএস ডাঙ্গী লোহারটেক খাল সংলগ্ন বড় ব্রিজের পাশে টিআর কাবিখা প্রকল্প থেকে এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘স্বাধীনতা চত্বর’এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এবং তার পাশেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জায়গা নির্বাচন করা হয়।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি, চার ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে সবার সমন্ময়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল যাতে করে অল্প সময়ের মধ্যে এ কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
এ ব্যাপরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউদ্দিন খালাশী বলেন, অত্র উপজেলায় ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে এখন ১২০ জন বেঁচে আছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নামে একটি স্মৃতিফলক আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি যা করার লক্ষে প্রায় দুই বছর আগে উপজেলা প্রশাসন কাজে হাত দিলেও আজও তা বাস্তবে রূপান্তরিত করা হয়নি। দুই বছর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্বাধীনতা চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল।
কাজ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, আমি এই উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। উক্ত স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের ফলকটি যাতে দ্রুত করা সম্ভব হয় এ বিষয়ে সাবেক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।