স্পোর্টস ডেস্ক: গ্রুপ পর্ব পেরোনোই যেই দলটির জন্য দায় ছিলো, সেই ব্রাজিল পুরুষ ফুটবল দলটি এখন অলিম্পিকের ফাইনালে। ২৪ ঘন্টা আগে পারফরমেন্সের ঝলক দেখিয়েও, ভাগ্যের দোষে অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে উঠতে পারেনি ব্রাজিল মহিলা ফুটবল দল।
তবে হতাশ করেনি স্বাগতিক দেশের পুরুষ দলটি। আসরের প্রথম সেমিফাইনালে নেইমার ও জিসাসের জোড়া গোলে ব্রাজিল ৬-০ গোলে হারিয়েছে হন্ডুরাসকে।
দিনের অন্য সেমিফাইনালে ফেভারিট জার্মানি ২-০ গোলে হারিয়েছে নাইজেরিয়াকে। ফলে এবারের অলিম্পিকের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও জার্মানি।
গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করে নিজেদের বিদায়ের সুর বাজিয়ে ফেলেছিলো ব্রাজিল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে বড় জয়ে কোয়ার্টারফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। এরপর শেষ আটে কলোম্বিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে স্বাগতিকরা। এখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় হন্ডুরাসকে।
প্রতিপক্ষ হিসেবে হন্ডুরাসকে পেয়ে বোধদয় খুশিতে টগবগ করতে থাকে ব্রাজিল। তার প্রমান পাওয়া গেল মারাকানা স্টেডিয়ামে। ম্যাচের ১৪ সেকেন্ডেই হন্ডুরাসের জালে বলের স্পর্শ দেয় ব্রাজিল। অধিনায়ক নেইমার গোলটি করেন। অলিম্পিকের ইতিহাসে এটি দ্রুততম গোল।
এরপর ২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলের গ্যাবরিয়েল জিসাস।
এই গোলের পর তৃতীয় গোলদাতা হিসেবে নিজের নামটি লিখতে খুব বেশি অপেক্ষা করেননি জিসাস। ৩৫ মিনিটেই নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান তিনি। ফলে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এই স্কোর রেখেই ম্যাচের বিরতিতে যায় তারা।
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে ৩ গোল দিয়ে মন ভরেনি ব্রাজিলের। তাই দ্বিতীয়ার্ধেও হন্ডুরাসের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার বজায় রাখে নেইমারের দল। তাই দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে বল গড়ানোর ৬ মিনিটের সময় মারকুইনহস গোল করে ব্রাজিলের লিড ৪-০তে নিয়ে যান।
এক হালি গোল হজম করে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে হন্ডুরাস। ফলে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ব্রাজিলের ডিফেন্স। কিন্তু সেই ডিফেন্সিভ অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি তাদের।
কারন হন্ডুরাসের রক্ষণদুর্গে ফাটল ধরিয়ে লুয়ানকে দিয়ে দলের পঞ্চম গোলটি করান নেইমার। সেটি ৭৯ মিনিটে।
ম্যাচের শেষ প্রান্তে এসেও, হন্ডুরাসকে চাপে রাখে ব্রাজিল। ফলে ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় তারা। আর সেটি থেকে গোল করেন নেইমার। ফলে ৬-০ গোলের বড় জয় নিয়ে ফাইনালে নিজেদের নামটা আনন্দ নিয়ে লিখলো।
আগের দিন মহিলারা হতাশ করলেও, আজ আনন্দ নিয়েই নাচ-গানে মারাকানা স্টেডিয়াম ছাড়ে ব্রাজিল ফুটবলের প্রাণভোমরারা। দর্শকদের এমন আনন্দ হয়তো ২০ আগস্ট আরও বহুগুনে বেড়ে যাবে। যদি ঐ দিনের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে জিতে স্বর্ণ জয়ের স্বাদ নিতে পারে নেইমারবাহিনী।-বাসস