যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে বাংলাদেশি নারী খুন হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলও এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যসহ অন্যান্য বিষয় জানতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। অন্ধকারের কারণে ফুটেজ থেকে হত্যাকারী শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে নিহত নাজমা খানমের পাশ দিয়ে একজনকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত বুধবার স্থানীয় সময় রাত নয়টার দিকে কুইন্সের জ্যামাইকা এলাকায় নিজ বাড়ির কাছে নাজমাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এতে তিনি মারা যান।
নাজমার (৬০) বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার আটিপাড়া গ্রামে। তিনি তাঁর স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে নিউইয়র্কে থাকতেন। ২০০৯ সালে ডিভি লটারিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তিনি শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ বলছে, তারা ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে। তবে হত্যাকাণ্ডটিকে ‘হেইট ক্রাইম (ঘৃণা প্রসূত অপরাধ) ’ হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমগুলো বলছে, সংগ্রহ করা ফুটেজে দেখা গেছে, নাজমা একটি ব্যাগ হাতে জ্যামাইকার হিল সাইডের ১৬১ স্ট্রিট দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছেন। অদূরেই ছিলেন তাঁর স্বামী। কিছুটা পথ যাওয়ার পরই ছুরিকাঘাতের শিকার হন নাজমা। কিন্তু ঘুটঘুটে অন্ধকার হওয়ায় ঘাতককে দেখা যাচ্ছে না।
নাজমার ভাতিজা হুমায়ন কবীর বলেন, তাঁদের পরিবারের ওপর এই ধরনের হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
নাজমার আরেক নিকট আত্মীয় মোহাম্মদ রহমান বলেন, ঘাতকেরা নাজমার হাতে থাকা ব্যাগসহ কিছুই নেয়নি। এতে তাঁদের সন্দেহ, নাজমার বেশভূষা দেখেই ঘাতকেরা তাঁকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঠান্ডা মাথা হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডকে বিদ্বেষমূলক উল্লেখ করে ন্যায়বিচার চান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাজমার বাসায় গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতাও সেখানে যান। তাঁরা পরিবারটিকে সান্ত্বনা দেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার জোহরের নামাজের পর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে নাজমার জানাজা হবে। পরে তাঁর লাশ বাংলাদেশে পাঠানো হবে।