পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে। দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বেড়ে যাওয়ার ফলে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। গত এক সপ্তাহে এ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন বন্দরের ৩০ জন ব্যবসায়ী। এখন বন্দরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে। সময়মত বাজারজাত করতে না পারায় ইতোমধ্যে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট দিনে এই স্থলবন্দর দিয়ে ৬৮০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দেশে ঢুকেছে। এতে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন। আবার গত তিন মাসের হিসেব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগস্ট মাসে আমদানি করা হয়েছে ১ হাজার ৭৫৮টি ট্রাকে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। আর জুলাই মাসে ১ হাজার ৩০৪টি ট্রাকে ২৫ হাজার ৭০৫ মেট্রিক টন আমদানি করা হয়েছে।
বন্দরের আড়তদাররা জানান, এক সপ্তাহ আগেও প্রকারভেদে পাইকারি হিসেবে ১৪ থেকে ১৭ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু এখন আমদানি বেড়ে যাওয়ায় সেই পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৮ টাকা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় আমদানিকারক বলেন, ভারত থেকে এক কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে খরচ হয় ১৩ থেকে ১৪ টাকা। এই পেঁয়াজ পাইকারি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা লোকসানে গুণতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আর্থিকভাবে লোকসান খেয়ে পথে বসতে হবে আমদানিকারকদেরকে।