নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ। ‘অপরাধী হিসেবে জামাতা তারেক সাঈদকেই এর শাস্তি ভোগ করতে হবে।’ তবে বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী মায়া কী বলছেন, সে বিষয়ে ৩ দিন ধরেই আগ্রহী সংবাদকর্মীরা। কিন্তু সোমবার থেকে মন্ত্রীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও।
এই দিকে বুধবার সকাল দশটায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রধান অতিথি থাকবেন বলে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় গণমাধ্যমে। একারণেই দশটার আগেই হাজির হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। কিন্তু ১১টা বাজলেও অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার খবর নেই।
উপস্থাপিকা নওশীন নাহরিন যখন অনুষ্ঠান শুরু করেন তখন সাড়ে ১১টা। তিনি যাদের নাম ঘোষণা করলেন তাদের মধ্যে মন্ত্রীর নাম নেই। তখন অনেকের বোঝা হয়ে গেছে মন্ত্রী মায়া আর আসছেন না। অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে গেলেন সাংবাদিকদের একাংশ। তবু থেকে যান অনেকে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল তার বক্তব্যের শেষ দিকে বলেন, ‘একটি বিষয়ে কৈফিয়ত হলো, আমাদের প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়। তিনি অন্যখানে ব্যস্ত থাকার কারণে আসতে পারেননি। ওনার পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি আগামী অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন।’
অনুষ্ঠানটি ছিল ন্যাশনাল আর্থকোয়েক পাবলিক অ্যায়ারনেস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন বিষয়ে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। এমনিতে এই ধরনের অনুষ্ঠানে যত সাংবাদিক আসেন এর তুলনায় এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের সংখ্যা ছিল বেশি। এর কারণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার উপস্থিত থাকার ঘোষণা।