বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: শখের জিনিসগুলোর মধ্যে মোবাইল সকলের কাছেই প্রিয়। আর তাই তার ব্যবহার থেকে শুরু করে এর রক্ষণাবেক্ষণ এ সবাই থাকেন সতর্ক। তবুও মাঝে মাঝেই ঘটে যায় কিছু অঘটন। ২০১৬ এমনি কিছু অঘটন এর জন্ম দিয়েছিল। আর সেটি ছিল মোবাইল ফোন এর বিস্ফোরণ।
স্যামসাং এর সর্বশেষ বের করা হ্যান্ডসেট গ্যালাক্সী নোট ৭ এ এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। বাজারে আসার পর এই মডেলের অনেক স্মার্টফোনে আগুন লাগার পর স্যামসাং ঐ মডেলের ফোন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। যদিও স্যামসাং বিষয়টি নিয়ে তদন্তের কোন ফলাফল প্রকাশ করেনি, তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় গ্যালাক্সি নোট ৭ ফোনের ব্যাটারির ত্রুটির কারণেই এই সমস্যা হয়েছিল। তবে এই দুর্ঘটনার যে পুনরাবৃত্তি হবেনা সেই সম্ভাবনা ফেলে দেওয়ার মত নয়।
আর এই সবকিছু বিচার করেই স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাসহ নতুন এক্তি ব্যাটারী নির্মাণ করা হয়েছে। লিথিয়াম-আয়ন’র তৈরি এ ব্যাটারি খুব গরম হয়ে গেলে অগ্নি নির্বাপণ সহায়ক একটি রাসায়নিক পদার্থ বের হওয়া শুরু হবে। জানা যায়, টিপিপি নামের রাসায়নিকটি ব্যাটারির ভেতরেই একটি খোসার ভেতরে থাকবে এবং ব্যাটারির তাপমাত্রা যদি ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, তবে আবরণটি গলে ট্রাইফিনাইল ফসফেট (টিপিপি) বেরিয়ে আসবে। পরীক্ষায় ০.৪ সেকেন্ডের মধ্যে ব্যাটারির আগুন নিভে যেতে দেখা গেছে। অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে এমন অনেক পণ্যে লিথিয়াম-আয়নের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই আবিষ্কার সম্প্রতি একটি বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে ব্যাটারির ভেতরে খোসা ব্যবহার না করেই টিপিপি রাসায়নিকটি ব্যবহারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সেল যদি খুব দ্রুত চার্জ করা হয় তবে উৎপাদনের সময় খুব ক্ষুদ্র কোন সমস্যার কারণেও ব্যাটারিতে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পরিবহণ নিরাপত্তা সংস্থা উড়োজাহাজের কার্গোতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি পরিবহণের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করে।