গাইবান্ধা প্রতিনিধি: আততায়ীর গুলিতে নিহত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার এক মাস পূর্ণ হলো আজ। একমাস অতিক্রান্ত হলেও হত্যার রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি। ধরা পড়েনি প্রকৃত খুনিরাও। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন সুন্দরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ ও লিটনের পরিবার। এতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সচেতন মানুষও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উঠেছেন।
এমপি লিটন খুন হওয়ার পর থেকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষায়িত দল হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনসহ খুনিদের গ্রেফতারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে।
এই তৎপরতার জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ১২৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে থেকে ২৩ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ এলাকায় নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে আহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭.৪০ মিনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. বিমল কুমার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।