গত ১৮ ডিসেম্বর দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির এই সংলাপ শুরু হয়। এরপর একে একে জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, এলডিপিসহ ছোট ছোট আরো কিছু দলের সঙ্গে ইসি গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়। বুধবার জাকের পার্টির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সংলাপ।
বুধবার বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি গঠনসহ অনেক সুচিন্তিত প্রস্তাব ও মতামত দিয়েছেন।
এসব প্রস্তাব ও মতামত বিবেচনা করে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে।’ রাষ্ট্রপতি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে সব রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান বলে প্রেস সচিব জানান।
তবে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি নতুন নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করেছিলেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার পর দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই জানায়, রাষ্ট্রপতির ওপর তাদের আস্থা আছে। রাষ্ট্রপতি একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
তবে সংলাপে বিএনপি ছাড়া প্রায় সব দল নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু সময়স্বল্পতার কারণে বর্তমান সংসদে সেই আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল মনে করে, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমেও আইন জারি হতে পারে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির সংলাপের শেষ দিন বুধবার বিএনপির মহাসচিব এক অনুষ্ঠানে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি গ্রহণযোগ্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে ব্যর্থ হলে তা মেনে নেবে না তারা।