হেলাল আহমদ হেলাল, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
স্বাধীনতার পর ৪৫বছর পেরিয়ে গেলেও আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি কাজী হুমাউন কবিরের। স্বীকৃতির জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। একজন দিনমজুর হিসেবে বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী, ৪ছেলে ও ৩মেয়ে নিয়ে ছাতক পৌরসভার মঙ্গলপাড়া আবাসিক এলাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। রাণাঙ্গনে অংশ নেয়া এ যোদ্ধার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার শেষ ভরশা হচ্ছে আগামী ২৮জানুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের দিনটা।
হুমায়ুন কবীর ১৯৫২ সালের ১জানুয়ারী কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার ৩নং আন্দিকোট ইউনিয়নের ডালফা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মৃত মন্তাজ আলী। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে পাক বাহিনীর অত্যাচার-অবিচার দেখে দেশ মাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধের খাতায় নাম লেখান। সহকর্মীদের সাথে ভারতে ট্রেনিং করতে মেঘালয় হের্ড কোয়ার্টারে উপস্থিত হন। তার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর হায়দার ও সহকারী ছিলেন বীর বিক্রম মায়া চৌধুরী। সাব সেক্টর কমান্ডার কামরুল হাসানের অধীনে যুদ্ধ কালীন কমান্ডার গিয়াস উদ্দিনের নের্তৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন। ২নং সেক্টরের কুমিল্লার মুরাদনগরের কামারচর এলাকায় কমান্ডার শহিদুল¬াহ ও খলিলুর রহমানের সাথে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন। জীবন বাজী রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও আজও তার স্বীকৃতি মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার। যুদ্ধের পর নিজের বাড়ী ছেড়ে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় প্রায় ৩৬বছর যাবৎ স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিতির কিছু কাগজ-পত্র গ্রামের বাড়ী মুরাদ নগরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে রেখে আসলেও পরে গিয়ে জানতে পারেন সব কাগজ আগুনে পুড়ে গেছে। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার আন্দিকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.ওমর ফারুক সরকার তাকে প্রত্যায়ন করেছেন। এছাড়াও মুরাদ নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. খলিলুর রহমান বলেন, সহকর্মী কাজী হুমাউন কবির আমার সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল। সে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়া অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। তার জন্য আমাদের সহযোগিতার হাত সব সময়ই সামনে থাকবে।
পাঠকের মতামত...
Total Page Visits: 52 - Today Page Visits: 1