ঢাকা: মায়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ এখন জড়িয়ে পড়েছে জঙ্গিবাদে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন শরণার্থীদের কারণে জঙ্গি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। আর পুলিশের দাবি নজরদারিতে আছে শরণার্থীরা।
এদিকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের দমাতে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের রেশ পড়েছে বাংলাদেশেও। প্রতিদিনই কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। এই শরণার্থী প্রবাহে উগ্রবাদের ঝুঁকি দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।
অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করছে পুলিশ। সরকারি হিসাবে নিবন্ধিত অনিবন্ধিত মিলিয়ে বাংলাদেশ অবস্থান করছে সাড়ে ৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা হয়। এতে সীমান্ত পুলিশের ১২ সদস্য নিহত হয়। এই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে তাদের ওপর নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের নির্যাতনে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৯ অক্টোবর রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর নিপীড়ন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর অন্তত ৭০ হাজার সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।