আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিপাকে পড়েছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে রানীর পক্ষ থেকে এ আমন্ত্রণ জানিয়ে তাকে ‘কঠিন পরিস্থিতিতে’ ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা। চলতি বছরের মাঝামাঝি বা শেষে ট্রাম্পের লন্ডন সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার জেরে ট্রাম্পের সফর ঠেকানোর আন্দোলনে নেমেছেন ব্রিটিশরা। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত এ পিটিশনে প্রায় ২০ লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। -খবর বিবিসির
দ্য টাইমসে লেখা এক চিঠিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রধান লর্ড রিকেটস বলেছেন, ‘একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম বছরেই যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ নজিরবিহীন।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিশেষ মর্যাদার প্রাপ্য কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
লর্ড রিকেটস ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের স্থায়ী সচিব ছিলেন। ট্রাম্পের লন্ডন সফর ঠেকানোর দাবিতে করা পিটিশনে প্রায় ২০ লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসননীতিতে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে আলোচনার জন্য শিগগিরই বিতর্ক করবেন দেশটির সংসদ সদস্যরা।
সোমবার হাজারো মানুষ লন্ডনের রাজপথে আন্দোলন করেছেন। ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টির প্রতীকী মূর্তি ধারণ করে সেখানে বলা হচ্ছে, এই মূর্তি এখন কাঁদছে। তবে সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ট্রাম্পের সফর বাতিল করা হবে না। লড রিকেটস বলেন, সফর নিয়ে এত তাড়াহুড়া করা ঠিক হবে না। প্রজ্ঞার পরিচয় হবে এই যে, অপেক্ষা করা এবং লক্ষ করা ট্রাম্প কোন ধরনের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।