নিজস্ব প্রতিবেদক ।। ৫ আগস্টের পরে নগরীর ভাটারখালে এক মূর্তমান আতঙ্কের নাম মাসুম ওরফে কালা মাসুম। আ’লীগে সরকারের পতনের পরথেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নগরীর ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা দাবিদার এই কালা মাসুম। তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীসহ বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধামকির অভিযোগ রয়েছে অহরহ। অভিযুক্ত মাসুম নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডস্থ ভাটারখালের বাসিন্দা রুস্তুম আলী হাওলাদারের ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানাগেছে। সে রাজনৈতিক পদবীর অপব্যবহার করেই অবৈধ দখল ও চাঁদাবাজি করতে গড়ে তুলেছে বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্যতম ভাটারখালের বাসিন্দা কালাম, জসিম ওরফে চোরা জসিম, ইব্রাহিম, সোহেল, আমিন।
এবার এই কালা মাসুমের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর তথ্য ও ভাটারখালের রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি অফিসের পাশে মাসুমের বোনাজামাই রুবেল এর ঘরে আগুন দেয়া ও লুটপাটের গোমর ফাঁস করলেন মাসুমেরই কাছের লোক ও তাদের মামলার স্বাক্ষী জেসমিন ও তার স্বামী জসিম। তাদের দেয়া বক্তব্য ও তথ্যানুযায়ী জানাগেছে, কিভাবে মাসুম ভাটারখালের বাসিন্দা তারেক-সাদ্দামকে এলাকা থেকে উৎখাত করতে ও স্পিডবোট দখল করতে নিজেদের ঘর ভাঙচুর-লুটপাট ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি অফিস সংলগ্ন রুবেলের বসতঘরে অগ্নিকান্ডের মত একটি নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটিয়েছে। এবং এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে তারেক-সাদ্দামের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে। আলোচ্য বিষয় এই মামলার ৫ নাম্বার স্বাক্ষী জেসমিন ও তার স্বামী জসিমই এই ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস করেন। যার একটি ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে, ছাত্রদল নেতা দাবিদার মাসুম ওরফে কালা মাসুম তার বাহিনীর সদস্য কালাম, জসিম, ইব্রাহিম, সোহেল, আমিন, বরফকল নামারচর এলাকার সোহেলসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জন পলাশপুরের একটি বাসায় গোপন বৈঠক করে। এসময় ভাটারখালের বাসিন্দা কুলসুমের পরিবার, মাসুমের পরিবারসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা জিলা স্কুল মোড়ে অবস্থান নেয়। এরপরই রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মাসুমের ঘরের ভিতর দিয়ে ভাটারখাল পার হয়ে রুবেল, কালামসহ অন্যরা রুবেল এর ঘরে আগুন দেয়।
এছাড়াও কিভাবে নিজেদের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের নাটক সাজানো হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে ভাটারখালের ১০-১৫ পরিবারের থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা তোলা হয়। এরপরে তাদের পরিকল্পনানুযায়ী পরেরদিন সাদ্দাম ও তারেক এর স্বজন ও পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলা দায়েরের পরই সাদ্দাম, তারেক, তাদের স্বজন তানিয়াসহ তাদের আত্মীয় স্বজন ও পরিবারবর্গ ঘর ছাড়া হয়। এছাড়াও মাসুম বাহিনীর ভয়ে ভাটারখালের বাসিন্দা ছালামের পরিবার, রাজ্জাকের পরিবার, সুমির পরিবার এলাকা ছাড়া হয়। এদিকে স্পিডবোট ঘাটে গিয়ে জানাযায়, সাদ্দাম, তারেক ও ফরিদ শেখের স্পিডবোটের লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে এসব ঘটনাকে সম্পূর্ন নাটক ও সাজানো দাবি করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকটে ভুক্তভোগী সাদ্দাম ও তারেকের পরিবারসহ ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সঠিক তদন্তের দাবি জানান। তারা দাবী করেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
একটি সূত্রে জানাগেছে, চাঁদা দাবী ও হুমকীর অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে কোতয়ালী মডেল থানায় মাসুমসহ তার ৬ সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভাটারখালের বাসিন্দা সাদ্দাম এর বোন নুসরাত জাহান। অভিযুক্তরা হলেন- মোঃ মাসুম হাওলাদার, মোঃ রুহুল হাওলাদার, মোঃ সোহেল হাওলাদার, মোঃ রুবেল, মোঃ ইব্রাহীম ও শিল্পী। আর এরই জেরে পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সাজানো হয়েছে বলে সাদ্দামের বোন নুসরাত জাহান জানান।