1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
পিরোজপুরে কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা শিশু শিক্ষার্থী উদ্ধার - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
টিকটকার পাভেল মুন্সির বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলনের দুই নেতার ওপর হামলার অভিযোগ, শেবাচিমে ভর্তি ! তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- নুরুল আমিন ডিসেম্বরে বাকসু নির্বাচন, প্রশাসনের আশ্বাসে অনশন স্থগিত দশমিনায় পুলিশের অভিযানে আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার গৌরনদীতে একই পরিবারের চারজনের ইসলাম ধর্মগ্রহণ লালমোহনে পানিতে ডুবে দুই চাচাতো বোনের মৃত্যু বরিশালের সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ট্রাইব্যুনালে হাজির নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মাহমুদউল্লাহ শি মহান নেতা, তার সঙ্গে অসাধারণ বৈঠক হয়েছে: ট্রাম্প

পিরোজপুরে কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা শিশু শিক্ষার্থী উদ্ধার

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৭ 0 বার সংবাদি দেখেছে

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ধাওয়া ইউনিয়নের একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

পিরোজপুরে কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা শিশু শিক্ষার্থী উদ্ধার। ছবি: সময় সংবাদ

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ধাওয়া ইউনিয়নের দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসা থেকে নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিককে (৬) পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র ওসমান মল্লিক দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। এ অভিযোগে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশুটির পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে পাঠদান চালিয়ে আসছিল। এতে শিশুটির পায়ে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
 
খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান। পরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তার খবর পেয়ে ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান। এ সময় শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেয়া হয়।
 
ভুক্তভোগী শিশু ওসমান মল্লিক ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করছে।
 
মাদ্রাসার নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া বলেন, ‘শিশুটি দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি যায়। পরে তার বড় ভাই আবুবকর মল্লিক শিকল ও তালা এনে দিয়ে যান। তার কথামতোই শিশুটির এক পায়ে শিকল দিয়ে রাখা হয়েছিল।’
 
শিশু ওসমানের বড় ভাই আবুবকর মল্লিক বলেন, ‘ওসমান পড়াশোনায় মনোযোগী নয়। দুইবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিল। তাই আমি শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে বলেছিলাম। এখন বুঝেছি এটা ভুল কাজ ছিল। এমন আর হবে না।’
 
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ূম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেয়া হয়। অভিভাবক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ