নিজস্ব প্রতিবেদক ::-বরিশালে জাল-জালিয়াতি করে ভূমি দখল করার পায়তারার চালাচ্ছে ভূমি দস্যু সাইফুল মল্লিক নামে এক ব্যাক্তি।তিনি জানান আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে সাইফুল মল্লিক নামের এক ব্যাক্তি।তিনি এলাকার একজন ভূমি দুস্যু বলে চিহ্নিত।
সাইফুল মল্লিক উজিরপুর কেশবকাঠি ইউনিয়নের আমির হোসেন মল্লিকের ছেলে।
আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার বরিশাল একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন জলিলুর রহমান।
তিনি জানান সাইফুল মল্লিক একজন ধুরন্দর, প্রতারক ও অসৎ ও জাল জালিয়াতির প্রকৃতির লোক। সত্য গোপন করিয়া সাধারন মানুষকে ভুল বুঝাইয়া জাল -জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র ও ডিক্রি সৃষ্টি সহ উহা উপস্থাপন করিয়া নিরিহ লোকজনের অযথা হয়রানী করাই তার একমাত্র নেশা ও পেশা।তার নিজস্ব কোন ব্যবসা বানিজ্য নেই তিনি প্রতারণা করে চলে।সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান
জনৈক অজয় বসু, সঞ্জয় বসু, সঞ্জীৎ বসু, অমিত সরকার, রনজিৎ ও বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষ বাদী হইয়া উজিরপুর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে বাংলাদেশ সরকারকে বিবাদী করিয়া ৩০ ধারার বিধান মতে খতিয়ান নং-১/১, সাবেক দাগ নং-৮৮৬, হাল দাগ নং-১৭৩০, এর দাগের জমিকে বিরোধীয় করিয়া মোকদ্দমাটি বিগত ইংরেজী ০৪/০২/২০০৮ তারিখ ৩৯/১নং আপত্তি
মোকদ্দমা দায়ের করিলে মোকদ্দমাটি বিজ্ঞ উজিরপুর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সিদ্দিকুর রহমান শুনানী অন্তে ১ম ঘটনার দিন, তারিখ অর্থাৎ বিগত ইংরেজী ২৭/০৮/২০১৪ তারিখ আপত্তি অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বাদী পক্ষে রায় প্রদান করেন। উক্ত মোকদ্দমার তপছিল বর্নিত সম্পত্তির পার্শ্বে আমার জমি হওয়ায় আমি উক্ত ৩৯/১নং আপত্তি কেসের আদেশের সই মোহরী উঠানোর জন্য বিগত ইংরেজী ১৮/১২/২০২২ তারিখ ৪৮৮২০নং আবেদনের করিলে বিগত ০৮/০১/২০২৩ তারিখে উক্ত ৩৯/১নং আপত্তি কেসের মূল আদেশের সই মোহরী পাই। উক্ত সইমোহরীর আদেশে দেখা যায় যে, বাদী ০৬ জন, বিবাদীঃ- বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, বরিশাল, ডি,পি খতিয়ান নং-১/১, সাবেক দাগ নং-৮৮৬, হাল দাগ নং- ১৭৩০, জমি ১.০৪ একর এবং সই মোহরী তথা জাবেদা নকলে নকল কারক দুলাল চন্দ্র শীল, তুলনা কারক মোঃ শফিকুল ইসলাম, রেকর্ড কিপার দুলাল চন্দ্র শীল দের নাম আদেশ দৃষ্ট হয়। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত ৩৯/১নং আপত্তি কেসের ০৬ জন বাদীগনই হিন্দু সম্প্রদায়কে
লোক। কিন্তু পরবর্তীতে সাইফুল ইসলাম জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ঐ ৩৯/১নং আপত্তি কেসে পূর্বের ০৬ জন বাদীর স্থলে মোট ১০ জন বাদী এবং হাল দাগ নং-১৭১০/১৬০০/১৬১০/১৭৩০/ ১৭০৬/১৭৮০/১৭৮২/১৭৮৭/১৭২৭/১৭০৭/২১৪২/ ২১৫৩/৩২২৩/ ৩২৪২/৩৫৮০/ ৩৩৭০/২১৩৯/২৯২৭/১৯২৮/১৯৯১/২১০৫/ ২৯৩১ / ২১৪১/২১৪২/১৭০৯/১৭১৮/ ২১৫০/১৭৩২নং সহ আরো কতিপয় দাগ অন্তর্ভুক্ত করিয়া আপত্তি অফিসার জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত উক্ত ৩৯/১নং আপত্তি কেসের আরেকটি আদেশের কপি সৃজন করেন। যাহা দ্বারা আসামী বিভিন্ন দপ্তরে ব্যবহার করিয়া থাকে। উক্ত আদেশ জাল ও জালিয়াতির মূলক এবং আসামী কর্তৃক সৃষ্ট।পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে অতঃপর সাইফুল ইসলাম ১ম ঘটনার দিন, তারিখ ও সময় অর্থাৎ বিগত ইংরেজী ২৪/০৮/২০২৩ তারিখ উক্ত ৩৯/১নং আপত্তি কেসের ০৬ জন সহ আসামীর নিজের নাম সংযুক্ত করিয়া মোট ১০ জন বাদী দেখাইয়া সাবেক দাগ ৮৮৬/৮৭৮/৮৭৯/৭২৯/৮৭২/ ৮৯১/৮৯২/৮৭০/১১৮১/১১৮২/১১০৬/৮০৩, হাল দাগ নং-১৭৮৮/১৭৩০/১৭০৬/ ১৭৩৩/১৭২৩/১৭২৪/১৭৮৮/১৭৮৭/১৭৮২/ ১৭০৯নং দাগ অর্ন্তভূক্ত করিয়া ঐ একই তারিখে উজিরপুর সেটেলমেন্ট অফিসার জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত আরেকটি আদেশ হাসিল করিয়া গোপন রাখেন।
পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি সাইফুল মল্লিক উজিরপুর থানাধীন জে,এল ২০নং কেশবকাঠী মৌজার টেন্সাসি রুলসের ৩০ ধাবা ৩৯/১নং আপত্তি কেসের উপর পুনঃ বিবেচনার নিমিত্তে রুলসের ৪২ (ক) ধারার বিধান মতে সাইফুল মল্লিক জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার, বরিশালের কার্যালয়ে বিগত ইংরেজী ০২/০৪/২০২৩ তারিখ একখানা আবেদন করেন। উক্ত ৪২(ক) ধারার মামলার মাধ্যমে আমরা সাইফুল মল্লিক কর্তৃক জাল জালিয়াতির বিষয়টি সুনির্দিষ্ট ভাবে জানিতে পারিয়াছি।
অতঃপর সাইফুল মল্লিক ১ম ঘটনার দিন, তারিখ ও সময় অর্থাৎ বিগত ইংরেজী ২৪/০৮/২০২৩ তারিখ উক্ত ৩৯/১নং আপত্তি কেসের ০৬ জন সহ আসামীর নিজের নাম সংযুক্ত করিয়া মোট ৭ জন বাদী দেখাইয়া সাবেক দাগ ৮৮৬/৮৭৮/৮৭৯/৭২৯/৮৭২/ ৮৯১/৮৯২/৮৭০/১১৮১/১১৮২/১১০৬/৮০৩, হাল দাগ নং-১৭৮৮/১৭৩০/১৭০৬/ ১৭৩৩/১৭২৩/১৭২৪/১৭৮৮/১৭৮৭/১৭৮২/ ১৭০৯নং দাগ অর্ন্তভূক্ত করিয়া ঐ একই তারিখে উজিরপুর সেটেলমেন্ট অফিসার জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত আরেকটি আদেশ হাসিল করিয়া গোপন রাখেন।
পরবর্তীতে আমি উহা জানিতে পারিয়া সাইফুল মল্লিক জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত ৩৯/১নং আপত্তি মূল আদেশের পরে ২টি সৃজিত ৩৯/১নং আপত্তি আদেশের সই মোহরীর নকল কোথাও ব্যবহার না করে এবং উক্ত ৩৯/১নং আপত্তি কেসের ৩য় সৃজিত জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট সই মোহরীতে আমাদের স্বত্ব দখলীয় জমির দাগ দ্বারা কোন কার্যক্রম না করার জন্য অনুরোধ করিলে সাইফুল মল্লিক কোন জায়গায় ব্যবহার করিবে না মর্মে জানায় এবং বলে আমার কাছে এই মুহুর্তে পরের ২টি আদেশের সই মোহরী আমার নিকট নাই, আমি উক্ত ২টি আদেশের সই মোহরীর নকল আমার কাছে আনিয়া আপনাদের সামনে আনিয়া পুড়িয়া ফেলিব। তখন সাইফুলের কথায় আমি বিশ্বাস স্থাপন করি। কিন্তু অদ্যাবধি সাইফুল জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত ৩৯/১নং আপত্তি আদেশের সই মোহরী নকল ২টি নষ্ট বিনষ্ট করে পুড়িয়া ফেলে নাই।সাইফুল মল্লিক আজ কাল করিয়া ঘুরাইয়া আসিতেছে।
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরী করে বিভিন্ন নিরীহ মানুষের সহায় সম্পত্তি দখল করিতেছে। এছাড়াও সাইফুল উক্ত জাল জালিয়াতির কাগজপত্র বিভিন্ন দপ্তরে প্রদর্শন করিয়া বিভিন্ন কাজের সুবিধা হাসিল করে। উক্ত জালিয়াতির বিষয়টি সাইফুল ধরা পরিলে বিভিন্ন দপ্তরে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়া চুপ করাইয়া দেয়।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম জানান এখানে আমি কোন জাল-জালিয়াতি করি নাই।আমার পৈত্রিক সম্পত্তি জলিলুর রহমান দখল করে রেখেছে।তারা ভূয়া কাগজ করেছে।সেটেলমেন্ট অফিসের আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে বলেন আমি জানিনা কোথা থেকে আদেশ আসছে।আমার বিরুদ্ধে তারা মামলা করেছে সেখানে সি আই ডি তদন্ত করে আমার পক্ষে দিয়েছে।
এ বিষয়ে উজিরপুর সেটেলমেন্ট অফিসের সাবেক অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান আমার জানা মতে আমি একটি আদেশ দিয়েছি যেখানে ৬ জন বাদী ছিল।আমার সময়ে কোন জালিয়াতি হয়নি।তারপর আমি আগৈলঝড়া অফিসে বদলী হলে রেকর্ড কিপারের যোগসাজশে এমনটি কেউ করেছে।আপনি রেকর্ড কিপার দুলাল চন্দ্র শীলের সাথে কথা বলেন।