নিজস্ব প্রতিবেদক // ঈদের ছুটির পর কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের ঢল নেমেছে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে অনেক পরিবহনের বিরুদ্ধে । শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যের বাসে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
বিশেষ করে ‘ইলিশ পরিবহন’ নামে একটি বেসরকারি বাস সার্ভিসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। সময় টেলিভিশনের লাইভ চলাকালীন ক্যামেরা দেখে কাউন্টার ছেড়ে ম্যানেজার দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে সিট নেই। দ্রুত গেলে ভাড়া বেশি। ভাড়া দিলে সিট পাওয়া যাবে। আর ভাড়া নেয়া হচ্ছে বেশি।
এ অবস্থায় সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসিও এই সিন্ডিকেটের বাইরে নয়। অভিযোগ উঠেছে, বরিশালের বিআরটিসি ডিপোর হাফিজ ও কামাল নামের দুই চালকের নেতৃত্বে গঠিত একটি সিন্ডিকেট কৌশলে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
বাসগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। এ ধরনের সিন্ডিকেট চক্র ডিপোর ভেতরে মাত্র ২ থেকে ৩টি সিট বরাদ্দ রেখে বাকি যাত্রীদের বাইরে পাঠিয়ে জিম্মি করে রাখছে। রহমতপুর থেকে গৌরনদী পর্যন্ত পথজুড়ে থাকা বিআরটিসি কাউন্টারগুলো স্রেফ নামমাত্র সিট দিচ্ছে। অথচ এখন ঈদের পর প্রতিদিন গড়ে ২০টি ট্রিপ চালাচ্ছে বিআরটিসি।
এদিকে, অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে বাস টার্মিনালে মোতায়েন রয়েছে র্যাব ও পুলিশ। যানজট নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে প্রশাসন। র্যাব-৮ এর অধিনায়ক নিস্তার আহমেদ বলেন, ঈদের আগেও যেভাবে কাজ করেছি, এখনো ফিরতি পথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ আইন ভাঙলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।